কেমন চলছে !?!

চারিদিকে কেমন যেন সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। ইদানিং অফলাইন অনলাইন কোন মিডিয়াতেই ভাল খবরের যেন খরা চলছে। সড়ক দূর্ঘটনা তো নৈত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার, সাথে ঢাকা শহরের জ্যাম। তারপর শুরু হলো ধর্ষন আর যৌন নির্যাতনের খবরের আধিক্য। মনে হচ্ছিলো ভানু’র মতো দেখি না কি হয় বলে অনেকেই অভিজ্ঞতা লাভের আশায় এই সব অপরাধে লিপ্ত হওয়া শুরু করলো। এর মধ্যে আবার খবর এলো  দূধে মাত্রাতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক পাওয়া যাচ্ছে। সেই খবরের সূত্র ধরে আবার কয়েকদিন কাঁদা ছোড়াছুড়ি হলো সরকারী দফতর আর গবেষকের মধ্যে। আগুনে পুড়িয়ে মারা, দিনে দুপুরে কুপিয়ে মারা এসব নিয়েই চলছে।

সাম্প্রতিক তম ইস্যু হলো ছেলে ধরা সন্দেহে পিটিয়ে মানুষ মারা।  শুরুতে গুজব ছড়ানো হলো যে পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে। তাই সারা দেশ থেকে মানুষ অপহরণ করে তাদের মাথা কেটে নেয়া হচ্ছে। ফেসবুক / ইউটিউবে কিছু লোক হন্যে এই সব গুজব প্রচারে উঠে-পরে লেগেছিলো। তারপর সেতু কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ঘোষণা করা হলো এসব আদতেই গুজব।

যখন মনে হচ্ছিলো গুজব স্তিমিত হয়ে আসছে, তখনই ঘটলো সেই অভাবিত ঘটনা। ছেলেধরা সন্দেহে পিটিয়ে মারা হলো এক মাদকাসক্ত তরুণ’কে। তার থেকেও ভয়ঙ্কর তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হলো এক শিশুর ছিন্ন মস্তক। এ যেন প্রায় নিভে যাওয়া আগুনে রীতিমত পেট্রোল ঢেলে আগুন রীতিমতো উসকে দেয়া। 

গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তার মধ্যে খোদ ঢাকা শহরেই একজন মহিলাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। মহিলা এক স্কুলে গিয়েছিলেন নিজের মেয়ের ভর্তি বিষয়ে কথা বলার জন্য।

সব কিছু দেখে শুনে মনে হচ্ছে আমরা আসলে সবাই কম-বেশী মানসিক রোগে আক্রান্ত। সুস্থ ভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা আমাদের আসলেই লোপ পেয়েছে। তারপরও বলি অস্বাভাবিক কোন পরিস্থিতিতে ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানান। হয়তো আপনার একটি ফোন কলে একজন নিরীহ মানুষ বেঁচে যেতে পারে হিংস্র হায়েনাদের হাত থেকে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।