দুর্গাপূজা

চেষ্টা করি প্রতিবছর দুর্গাপূজায় কিছু না কিছু ছবি তুলতে। মাঝে বেশ কয়েক বছর অবশ্য ছবি তোলা তেমন একটা হয় নাই। গতবছর কেবল উত্তরাতেই ছবি তুলেছি। এবার ঠিক করে রেখেছিলাম ঢাকায় যতগুলো পারি পূজামন্ডপ ঘুরে দেখবো আর ছবি তুলবো। এবার শুরু করেছিলাম উত্তরা থেকে। প্রথমে গেলাম সেক্টর ১৩ এর পূজামন্ডপে। এখান থেকে গেলাম ঢাকেশ্বরি মন্দির। এরপর গেলাম রমনা কালীমন্দির। আবার উত্তরায় ফিরে গেলাম সেক্টর ১৭ এর মন্দিরে। দ্বিতীয় দিন গেলাম বনানী। কিন্তু তারা সিকিউরিটির জন্য নিয়ম করেছে ব্যাগ নিয়ে ঢোকা যাবে না। সাথে ক্যামেরা ব্যাগ থাকায় ঢুকতে পারলাম না, তাই ছবিও তুলতে পারলাম না। এরপর গেলাম ফার্মগেট। আগের দিন বাস থেকে দেখেছিলাম হলিক্রস কলেজের গলির মুখে পূজার তোরণ। আমি সোজা হাটতে থাকলাম সোজা। একসময় পেয়েও গেলাম পূজামন্ডপ। এখান থেকে গেলাম কলাবাগান। আজ যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো পুান ঢাকায়। কিন্তু আকাশের অবস্থা দেখে ভরসা পাচ্ছি না বের হওয়ার। 

ফার্মগেটের পূজামন্ডপটি ছিলো একেবারেই আড়ম্বরহীন সাদামাটা। এখানে কোন প্রতিমা (মূর্তি) ছিলো না। ব্যানারে প্রিন্ট করা ছবি দিয়েই পূজা পালিত হচ্ছে। আমি এর আগে কোন এক বাসায় দেখেছিলাম তারা তাদের পূজার ঘরে এরকম ছবি দিয়ে পূজা অর্চনা করেন। ফার্মগেটে হলিক্রসের গলির প্রায় শেষ মাথায় গেলে রেললাইনের ধারে ছোট একটি মন্দির, তার পাশেই এই পূজা মন্ডপ। উপর দিয়ে চলে গেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে। সাদামাটা আড়ম্বরহীন হলেও কিন্তু ভক্তের সংখ্যা ছিলো প্রচুর। আর প্রসাদের আয়োজনও ছিলো বেশ। আর বাইরে অপেক্ষমান ছিলো রেললাইন ঘেষা বস্তির মানুষ।

পূজামন্ডপ

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।