ধৈর্য

ইদানিং ধৈর্য মনে হয় কমে যাচ্ছে। বিশেষ করে ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির সময়। অথচ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলে হয়তো ভাল একটি ছবি পেতে পারতাম কিংবা ভিডিও’টি হয়তো আরেকটু পরিশীলিত হতো। কিন্তু ধৈর্যের অভাবে সে আর হচ্ছে না। 

ইদানিং অবশ্য ক্যামেরা নিয়ে বের হতেই ভয় লাগে। চারিদিকে কেবল ছিনতাই এর খবর। সবেধন নীলমণি এই ক্যামেরা আর লেন্স যদি ছিনতাই হয় তো আর নতুন করে কেনার আশা নাই। আবার কোন গ্রুপের সাথে যে ফটোওয়াকে যাবো সে সূযোগও হচ্ছে না। আসলে ইদানিং ফটোওয়াকের সংখ্যাও ব্যাপক কমে গেছে। 

আমি অবশ্য বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ফটোগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হয়েছি তার অন্যতম কারণ ছবির মান উন্নত করা, সাথে এইসব ফটোওয়াকে যোগ দেয়া। গতকাল ১০ম ব্যাচের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে গিয়েছিলাম। সেখানে দুইজনের সাথে আলাপ হলো। তারা দুইজনই ব্যাপক প্রশংসা করলেন কোর্সের। বিশেষ করে ফটোওয়াকগুলি দারুণ হয় সে কথাও বললেন।

ক্লাস শুরু হবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে। অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছি।

ইমেজ ক্রেডিট : ChatGPT

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।