নতুন ক্যামেরা

না এখনও কিনি নাই। নাইকন Z6 সবদিক দিয়ে পছন্দ হয়েছিলো। আমি বেশ কিছু তুলনামূলক ভিডিও দেখেছিলাম ইউটিউবে। তাতে মনে হয়েছিলো এটি Sony A7 iii এবং Canon EOS R এর চাইতে কিছুটা ভাল। বাকি দু’টিও যথেষ্ঠ ভাল। ক্যাননের ডুয়াল পিক্সেল ফোকাস তো খূবই ভাল। সনি’র এই মডেল কিছুটা পুরাতন হলেও এখনও স্বগর্বে রাজত্ব করে যাচ্ছে। তবে নাইকনের ব্যাপারে কিছুটা পক্ষপাতিত্ব ছিলো লেন্স এর কারণে। FTZ (F mount To Z mount) এডাপ্টার ব্যবহার করে আমি আপাতত কাজ চালাতে পারি। যদিও জেড মাউন্টের কোন লেন্স এখনও ঢাকায় আসেনি। এখন পর্যন্ত জেড মাউন্টের লেন্স খূবই দামী। সবচেয়ে কমদামী হলো ৫০ মিমি, যার দাম ৬০০ ডলার। সনি বা ক্যানন কিনলে সাথে লেন্স ও কিনতে হবে। এগুলোে দামও নিতান্ত কম না। এই ৩টি মিররলেন ক্যামেরার শুধু বডি’র দাম ১.৪৫ লক্ষ থেকে ১.৫ লক্ষের মধ্যে।

আপাতত নাইকন জেড৬ কেনার ক্ষেত্রে একটু ধীরে চলো নীতি’তে আগাতে হচ্ছে। একমাত্র কারণ হচ্ছে মেমরি কার্ড। এই ক্যামেরার সনি’র তৈরী XQD মেমরি কার্ড ব্যবহার করা যায় শুধূ। আর এই মেমরি কার্ড এর দাম অ-নে-ক বেশী, যদিও সবাই বলছে মেমোরি কার্ড হিসেবে এটি খূবই ভাল। আর এ কারণেই হয়তো নাইকন একটি মাত্র কার্ড স্লট রেখেছে জেড৬ ক্যামেরায়। ৩২ জিবি’র এই কার্ডের দাম মাত্র ১০ হাজার টাকা আর ১২৮ জিবি’র দাম মাত্র ২৪ হাজার টাকা।

আপাতত তাই অপেক্ষা করছি। এমাসের ১০ তারিখ নাইকন Z50 এবং ২০ তারিখ সিগমা তাদের পকেট সাইজ ফুল ফ্রেম ক্যামেরা FP রিলিজ করবে বলে শোনা যাচ্ছে। এগুলো রিলিজ হলে যদি পুরাতন মডেলগুলোর দাম কমে সেই আশায় আছি। সেই সাথে সিগমার ফুলফ্রেম ক্যামেরাটিও দেখতে চাই।

ভাল থাকুন নিরন্তর।

Photo by Andrew Seaman on Unsplash

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।