নেক মাউন্ট / ব্যান্ডের ব্যবহার

কয়েকদিন আগে একটা নেক ব্যান্ড কিনেছিলাম ডিজেআই অসমো একশন 4 ক্যামেরার জন্য। এই ক্যামেরা কেনার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিলো ফটোগ্রাফি করার সময় POV টাইপের ভিডিও করা। মানে আমি ক্যামেরায় ফটো তুলবো, সাথে একশন 4 এ ভিডিও রেকর্ড হতে থাকবে। তারপর ভিডিও এডিটিং এর সময় ফটোগুলো জায়গা মতো সেট করে দিবো। এটাই POV ভিডিও।

আমার দুই হাত তো ফটো তুলতে ব্যস্ত থাকবে। তাহলে একশন 4 রাখবো কই ? এক হলো চেষ্ট মাউন্ট আর এক হলো হেড মাউন্ট। হেড মাউন্ট শুরুতেই বাদ দিলাম। এরপর হলো চেষ্ট মাউন্ট। এটা ব্যবহার করতে একটু কেমন যেন লাগে। মনে হয় সবাই তাকিয়ে আছে।

সেসময় হঠাৎ করেই চোখে পড়লো নেক মাউন্ট বা নেক ব্যান্ড। অনেক চিন্তা ভাবনার পর এটাই কিনে ফেললাম। তারপর সেদিন সূযোগ পেয়ে ব্যবহার করলাম। গলায় ঝোলানোর পর একটু অড লাগছিলো, কিন্তু তারপরও রেকর্ড চালিয়ে গেলাম। ভিডিও খারাপ আসে নাই। একশন ক্যামেরা হাতে নিয়ে হেটে ভিডিও করলে যে হালকা দোলুনি দেখা যায়, সেটি ছিলো। তবে মূল কথা হলো আমার হাত দুটি ফ্রি ছিলো।

আশা করি পরের বার একটা POV টাইপ ভিডিও করবো।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।