পছন্দের ফ্লিকার (২)

আপাতত ফ্লিকারেই ছবি / ফটো আপলোড করছি। যদিও আগে আরো কিছু সাইটে করতাম। পরে দেখা গেলো এতো এতো সাইট মেইনটেইন করা আসলে ঝামেলার ব্যাপার। এক ফেসবুকই দিনের অনেকটা সময় নষ্ট করে ফেলে। এ যেন ‘জেনে শুনে বিষ করেছি পান’ টাইপ অবস্থা।

এখন অবশ্য ফ্লিকারে প্রচুর ছবি দেখি। মাঝে মধ্যে অসাধারণ সব ছবি চোখে পরে। বিশেষ করে ল্যান্ডস্কেপ ছবি অনেকেই খূব দারুণ তুলেন। ইদানিং অবশ্য খূব ভাল পোর্ট্রেট ছবি চোখে পরে না। এছাড়া আছে নানা বিষয়ের ছবি। এক্সপ্লোর এ গেলে পাখির ছবি দেখা যায় অনেক।

কয়েকদিন ধরে এক ভদ্রমহিলার ফ্লিকার একাউন্ট দেখছি। তার ষ্ট্রিমে বেশীরভাগই পুতুলের ছবি। নানা রকমের পুতুল সাজিয়ে, বিভিন্ন ড্রেস পরিয়ে তারপর ছবি তুলেন। আজ একবার ইচ্ছে হলো পুতুলগুলোর কেমন দাম খূজে দেখার। তার ফটোষ্ট্রিম থেকেই পুতুলের নাম নিয়ে সার্চ করলাম। প্রথমেই যে পুতুল আসলো আমাজনে তার দাম ২৯৯ ডলার মাত্র। আপাতত আর কোন কিছু সার্চ করছি না, তবে এটুকু বলে রাখি এসব পুতুলের রেডিমেড পোষাকের দাম কিন্তু আমার পরণের পোষাকের চাইতেও বেশী। ইচ্ছে করলে এই মহিলার ফটোষ্ট্রিম ঘুরে আসতে পারেন।

এ সংক্রান্ত আমার ফেসবুক পোষ্টে অনির্বান অর্ঘ্য Hrjoe Photography নামে একজনের ফেসবুক পেজের সন্ধান দিলেন। তিনি ছবি তুলেন একশন ফিগারের। কিছু ছবি দেখলাম। আসলেই অসাধারন। ফ্লিকারে তার একাউন্ট খূজতে গিয়ে এই ছবি পেলাম (অন্যের আপলোড করা)। এই ছবিটি দারুণ লেগেছে।

The Haircut

এরকম আরো বেশ কিছু ফটোগ্রাফার আছেন যারা কেবল এরকম পুতুল / একশন ফিগার এসব নিয়েই কেবল ছবি তুলেন। দেখতে পারেন Quillope Jeffrey এর ফটোষ্ট্রিম। আপনার পছন্দের কোন ফটোগ্রাফার থাকলে কমেন্টে শেয়ার করতে পারেন।

আজ এই পর্যন্তই। ভাল থাকবেন।

 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।