প্যানিং ফটোগ্রাফি

প্যানিং ফটোগ্রাফি একটি জনপ্রিয় কৌশল যেখানে ক্যামেরাকে চলমান বস্তুর সঙ্গে সমান্তরালভাবে নড়ানো হয়। এর ফলে মূল বিষয়টি স্পষ্ট থাকে, আর পেছনের অংশ ব্লার হয়ে গতির অনুভূতি তৈরি করে। যেমন, চলন্ত গাড়ি, সাইকেল বা দৌড়ানো মানুষের ছবি তুলতে প্যানিং অসাধারণ ফল দেয়। এটি শুধু গতির ছাপই নয়, ছবিকে আরও নাটকীয় করে তোলে।

প্যানিং করার জন্য ক্যামেরার শাটার স্পিড নিয়ন্ত্রণ করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। খুব দ্রুত শাটার স্পিড নিলে ব্যাকগ্রাউন্ড স্থির হয়ে যাবে, আবার খুব ধীর শাটার স্পিড নিলে বিষয়টিও ঝাপসা হতে পারে। সাধারণত 1/30 সেকেন্ড থেকে 1/60 সেকেন্ডের মধ্যে শাটার স্পিড বেছে নেওয়া ভালো শুরু হতে পারে, তবে বিষয়টির গতি অনুযায়ী পরিবর্তন করতে হয়।

ক্যামেরা হাতে নিলে শরীরকে স্থির রেখে শুধু কোমর থেকে ঘুরিয়ে বিষয়টিকে ফলো করতে হয়। বিষয়টিকে ভিউফাইন্ডারে ধরে রেখে শাটার চাপতে হবে এবং শাটার চাপার পরও মুভমেন্ট চালিয়ে যেতে হবে। একে বলে ফলো থ্রু—এটি ছবিতে মসৃণ গতির রেখা আনতে সাহায্য করে।

কিছু টিপস

  • প্র্যাকটিস করুন – প্রথম কয়েকবার ছবি নষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। যত বেশি অনুশীলন করবেন, টাইমিং ও মুভমেন্ট নিয়ন্ত্রণ তত নিখুঁত হবে।

  • কন্টিনিউয়াস শুটিং মোড ব্যবহার করুন। এতে একসাথে কয়েকটি ছবি তুলতে পারবেন, এবং ভালো ফ্রেম পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।

  • অটোফোকাস মোড (AF-C) ব্যবহার করুন, যাতে চলমান বিষয়কে ক্যামেরা ফোকাসে রাখতে পারে।

  • বিষয় (যেমন মানুষ বা সাইকেল) যত ধীর গতিতে চলবে, তত বেশি ধীর শাটার স্পিড ব্যবহার করা যায়। আবার দ্রুত গতির বিষয় (যেমন মোটর সাইকেল বা গাড়ী) হলে শাটার স্পিড কিছুটা দ্রুত রাখতে হয়।
  • বিষয় যদি মানুষ হয়, তবে শাটার স্পিড ১/১২ সেকেন্ড রাখা যেতে পারে। সাইকেল হলে ১/৩০ সেকেন্ড শাটার স্পিড ব্যবহার করতে পারেন। 

  • সম্ভব হলে মনোপড ব্যবহার করতে পারেন। এতে হাত কাঁপা কমবে এবং ট্র্যাকিং সহজ হবে।

সঠিক টেকনিক ও অনুশীলনের মাধ্যমে প্যানিং ফটোগ্রাফি আপনার ছবিকে গতিশীল ও শিল্পসম্মত করে তুলতে পারে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।