ফেসবুক ষ্ট্যাটাস – ০৬

ইভিএম এ ভোট দেয়া তো সহজই। তবে কারো কারো কাছে মনে হয় ভীতিকর। আমার আগের জন কেন যেন তালগোল পাকিয়ে ফেলছিলেন। যেখানে ৩টি ভোট দিতে বড়জোর আধ মিনিট সময় লাগার কথা সেখানে তিনি প্রায় ৭/৮ মিনিট সময় লাগিয়ে ফেললেন। ভোট কর্মকর্তা মুখে বলে বলে তাকে যতটুকু সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তিনি সফল ভাবে ভোট দিতে পেরেছিলেন।
 
আনার ভোটকেন্দ্রে ভীড় একেবারেই নেই। কেন্দ্রে ঢোকার পর ভোটকক্ষের সামনে ৩/৪ জন করে ভোটার অপেক্ষমান। একজন করে ভোটার যাচ্ছেন আর ভোট দিয়ে বের হয়ে আসছেন। শুরুতে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার দিলে একটি মেশিনে ভোটারের পরিচিতি দেখা যাবে। এরপর আঙ্গুলের ছাপ দিলে পরিচয় নিশ্চিত হবে। এরপর ভোট দেয়ার পালা। কাপড় দিয়ে ঘেরা অংশে মেয়র, কাউন্সিলর আর মহিলা সদস্য নির্বাচনের জন্য আলাদা ৩টি মেশিন। প্রতিটি মেশিনে প্রাথীদের নাম ও প্রতীক দৃশ্যমান। পাশে সাদা বোতাম। পছন্দের প্রার্থীর পাশের সাদা বোতামে চাপ দিলে স্ক্রিনে তার প্রতীক বড় করে দেখাবে৷ তখন সবুজ বোতামে চাপ দিলে ভোট দেয়া হয়েছে বলে মেশিনে রেকর্ডেড মেসেজ বাজবে। ৩টি ভোট দেয়া হলে সফল ভাবে ভোট দেয়া হয়েছে বলে জানাবে।
 
তবে যে কাপড় দিয়ে ঘেরা ছিলো, সেটি এতোটাই পাতলা যে আমি আগের জন কোন মহিলা প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন সেটা দেখতে পারছিলাম লাইনে দাড়িয়ে। বাকি দুটো মেশিন দেখা যাচ্ছিলো না সেই অংশে নিয়ম কানুন সম্বলিত পোষ্টার ঝুলানোর জন্য।
আশা করি আপনার মূল্যবান ভোট দিয়েছেন। না দিয়ে থাকলে দিয়ে আসুন।
 
ফেসবুক ষ্ট্যাটাস ফেব্রুয়ারী ১, ২০২০

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।