বলধা গার্ডেন

১. আজ (২৮শে সেপ্টেম্বর) দিনের বেশীরভাগ সময় গেলো বাসে আর পদব্রজে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হলো না।
 
২. রাজলক্ষ্মী থেকে বিআরটিসির দোতলা বাসে উঠেছিলাম। বিশ্বরোড ষ্টপেজে এসে থামার পর দেখলাম কোন একটা ট্রেন দ্রুতগতিতে ক্রস করলো। পিছনের ভদ্রলোক ‘ইস’ করে উঠতেই পিছনে ফিরলাম। ভদ্রলোক বললেন একজন লোক মনে হয় ট্রেনে কাটা পড়লো। আমি জানালা দিয়ে তাকাতেই একটা জটলা দেখলাম রেললাইনে, কিন্তু কিছু বঝতে পারলাম না। আরেক ভদ্রলোক বললেন ব্যাটা শেষ মুহুর্তে দৌড় দিয়েছিলো, কিন্তু ইঞ্জিনে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। এই জায়গায় শুনতে পাই মাঝে মধ্যেই লোকজন ট্রেনে কাটা পড়ে। কয়েক মাস আগে এক তরুণ ফটোগ্রাফার ছবি তুলতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়েছিলো।
 
৩. কাজকর্ম যখন হলো না, শেষবেলায় তাই গেলাম বলধা গার্ডেন। অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম যাব। সেই কবে গিয়েছিলাম সামহোয়্যার ইন এর ব্লগারদের সাথে। কিছু ছবি তোলার দরকার ছিলো। ৩০ টাকার টিকেট কেটে ঢুকতে গিয়ে দেখি আধুনিক ব্যবস্থা। স্ক্যানারে টিকেট দেখালে গেট খুলে। কিন্তু সময় এতো কম যে আমি ঢোকার আগেই গেট আবার লক হয়ে গেলো। পরে পাশের গেট দিয়ে ঢুকলাম। ঢোকার পর ব্যাগ খুলে ক্যামেরা বের করছি এমন সময় কাউন্টারের ছেলে বলে উঠলো এখানে ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা নিষেধ। কবে থেকে জানতে চাইলে বললো গত দুবছর ধরে তো অবশ্যই। যে ভদ্রলোক গেট খুলে ঢুকতে সাহায্য করেছিলেন তিনি বললেন এগুলো সব সরকারই করেছে। কি আর করা। পুরো এলাকা কেমন যেন হয়ে আছে। যত্নের অভাব স্পষ্ট। জায়গায় জায়গায় সতর্ক বার্তা। কোনটায় অশ্লীলতার বিরুদ্ধে সতর্কতা, কোথাও সিসি ক্যামেরার সতর্কতা। কিন্তু কোথাও ডিএসএলআর ক্যামেরা বিষয়ক কোন বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়লো না। গোটা দুই চক্কর দিয়ে বের হয়ে আসলাম।
 
বলধা গার্ডেন
বলধা গার্ডেন

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।