ব্রাহ্মণবাড়িয়া ভ্রমণ

আপাতত ব্রাহ্মষবাড়িয়া ভ্রমণের পরিকল্পনা মাত্র। বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে তিতাস কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করে দিনে ৪ বার। প্রথম এবং শেষ ট্রেনের প্রার্মভিক / শেষ ষ্টেশন আখাউড়া, মানে আখাউড়া-ঢাকা / ঢাকা-আখাউড়া রুটে চলাচল করে। মাঝের ২টি ট্রেন ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রুটে চলাচল করে।

ট্রেনের সময়সূচী

  প্রারম্ভিক ষ্টেশন ছাড়ার সময়
তিতাস কমিউটার আখাউড়া সকাল ০৫:০০
তিতাস কমিউটার ঢাকা সকাল ০৯:৪৫
তিতাস কমিউটার ব্রাহ্মণবাড়িয়া দুপুর ০১:১০ (১৩:১০)
তিতাস কমিউটার ঢাকা বিকাল ০৫:৪৫ (১৭:৪৫)

মোটামুটি ৩ ঘন্টায় ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌছানো যায়। এখন প্রশ্ন হলো ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গিয়ে ফিরতি ট্রেনে ঢাকায় পৌছাতে পারবো কিনা। বাংলাদেশ রেলওয়ে সময় ঠিক রাখতে পারে না। আরেক কাজ করা যায়, কালে এয়ারপোর্ট / আবদুল্লাহপুর থেকে বাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া গিয়ে তারপর ট্রেনে ফিরতে পারি। বাসেও সময় লাগে ৩ ঘন্টার মতো, তবে ভাড়া বেশী, ৩০০-৩৫০ টাকা। ট্রেনের ভাড়া মনে হয় ৭০ টাকা।

ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশনের পর থেকে ঢাকা বিমানবন্দর, টঙ্গি, নরসিংদী, আমিরগঞ্জ, মেথীকান্দা, ভৈরব বাজার জংশন, আশুগঞ্জ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌছায়।

ফটো ক্রেডিট : Tash avengerসিসি বাই-এসএ ৩.০, সংযোগ

 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।