গতকাল সকাল ১০:৩৮ মিনিটে বেশ জোরেশোরে একটা ঝাঁকুনি অনুভব করলাম। প্রথম ধাক্কায় আসলে বুঝতে পারি নাই কি হলো। প্রায় সাথে সাথেই যে সব ধাক্কা এলো তাতে বুঝতে বাকি থাকলো না কি হচ্ছে। আমি তাড়াতাড়ি গেলাম বোনের রুমের দিকে, একটু আগে সে আমাকে ডাকতে এসেছিলো। গিয়ে দেখলাম সে সমানে দোয়া-দরুদ পড়ছে। ততক্ষণে অবশ্য ভুমিকম্প থেমে গেছে।
এরকম পরিস্থিতিতে আসলে হঠাৎ করে মাথা ঠিকমতো কাজ করে না। কি করা উচিত অথবা কি করা উচিত না। এক নাতির কথা শুনলাম সে নাকি ভুমিকম্প শুনে বা বুঝেই সোজা টেবিলের নিচে ঢুকেছিলো। অথচ সে একেবারে ছোট একটা ছেলে, প্রাইমারি স্কুলে পড়ে। হয়তো স্কুলে শুনেছে অথবা কোথাও শুনেছে।
আমি চিন্তা করে দেখলাম এই বাসায় আসলে দ্রুততম সময়ে আশ্রয় সেয়ার মতো কিছু নাই। খাটের যে উচ্চতা, তাতে ছোট বাচ্চাও নিচে ঢুকতে পারবে না। কাঠের টেবিল তেমন একটা নাই, বাকি সব বড় ফার্নিচারও ধরতে গেলে বোর্ডের তৈরী। ডাইনিং টেবিল যেটা আছে সেটার টপ আবার কাঁচের। মানে আরো বেশী ভয়ঙ্কর।
আবার এই এলাকার বাসাগুলোর সামনে জায়গা (রাস্তা) খূব একটা প্রশস্ত না। ৩টি গাড়ী পাশাপাশি রাখা যায় এমন। মানে বিল্ডিং থেকে বের হলেও লাভ নাই। বিল্ডিং ঘাড়ের উপর ভেঙ্গে পড়বে। তবে বিল্ডিং যদি দুই পাশে বা পিছন দিকে হেলে পড়ে তাহলে হয়তো একটা আরেকটার সাথে আটকে থাকবে। তবে সেটা মনে রেখে সুখ পাওয়া যেতে পারে, বাস্তব বড় কঠিন জিনিস।
আবার পত্রিকার এক রিপোর্টে জানলাম ঢাকা শহরে তিতাস গ্যাসের লাইন পুরো ঢাকা শহরে জালের মতো ছড়িয়ে আছে। অনেক ক্ষেত্রে তিতাসের কাছে নাকি এসবে কোন ম্যাপও নাই। মানে আমি / আপনি বিল্ডিং ধ্বস থেকে ভাগ্যক্রমে বাঁচলেও আগুনে পুড়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।
আমাদের মনে হয় আর কোন আশা নাই।
ফটো ক্রেডিট : গুগল জেমিনি এআই (কাল্পনিক ছবি)


ফেসবুক মন্তব্য