রোহিঙ্গা ইস্যু

প্রথম কবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরনার্থি এসেছিলো !?! বাংলায় গুগল সার্চ করলে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই ২০১৭ সালের কাহিনী চলে আসে। ইংরেজীতে সার্চ করলে অবশ্য আসল তথ্য পাওয়া যায়। বাস্তবতা হলো এর বহু আগে ১৯৭৭-৭৮ সালে প্রথম রোহিঙ্গা শরনার্থি বাংলাদেশে প্রবেশ করে (সূত্র : ওয়ার্ল্ড ভিশন)। সেই সব শরনার্থিদের কেউ কেউ এখনও বাংলাদেশে আছেন। কয়েকদিন আগে এরকম এক মেয়ে শরনার্থির বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিয়ে রিপোর্ট বের হয়েছিলো। পরে অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বহিস্কার করে।

ওয়ার্ল্ড ভিশনের ওয়েব সাইট থেকে জানা যায় ১৯৭৭-৭৮ সালে প্রায় ২ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ১৯৮৯-৯১ সালের মিলিটারি ক্র্যাকডাউনের পর আরো ২.৫ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আলোচনার ভিত্তিতে বেশ কিছু রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে যায়। তবে সঠিক সংখ্যা কোথাও খূঁজে পেলাম না। ২০০৩ সালে দেখা যায় ২০টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে ২টি তখনও চলমান। বিবিসি‘র ২০১৬ সালের এক রিপোর্টে বলা হয় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ।

২০১৬ (মতান্তরে ২০১৭ সালে) সালে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের আক্রমনে বেশ কিছু বর্ডার গার্ড নিহত হলে নতুন করে মিলিটারি ক্র্যাকডাউন শুরু হয়। সেসময় প্রায় ৮৭ হাজার শরনার্থি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। আগষ্ট ২০১৭ থেকে দমন-পীড়নের মাত্রা বেড়ে গেলে শরনার্থি আগমনের মাত্রাও বাড়তে থাকে। অক্টোবর নাগাদ ৬ লক্ষের বেশী রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে  ৯-১১ লক্ষ রোহিঙ্গা শরনার্থি বাংলাদেশে অবস্থান করছে। কুতুপালং এবং নয়াপাড়া নামে দুটি মাত্র রেজিষ্টার্ড ক্যাম্প আছে, এর আশে পাশে গড়ে উঠেছে আরো সব ক্যাম্প।রোহিঙ্গা ম্যাপএদের কারণে স্থানীয় অধিবাসীরা এখন সংখ্যালঘু। তাদের নিয়মিত জীবন-যাপনে ব্যাঘাত ঘটছে শরনার্থিদের কারণে। নানারকম অপরাধেও জড়িয়ে পড়ছে তারা। ২০১২ সালে রামু বৌদ্ধ মন্দিরে হামলায় রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্তার অভিযোগ করেন কেউ কেউ। তবে ইদানিং কালে একটি অসাধূ চক্রের মাধ্যমে ভূয়া ভোটার আইডি এবং পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা এখন ব্যাপক হুমকির মূখে।

আজ আপাতত এই পর্যন্তই।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।