লাকসু

সেদিন গিয়েছিলাম টেষ্ট অফ হিলস এ লাকসু ট্রাই করতে। এই ফুডকার্টটি চালায় রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শ্যামল আর কলি। আগেরবার মুংডি খেয়ে এসেছিলাম সেটি ছিলো স্যুপ নুডলস বা রাইস নুডলস। খেতে ভালই লেগেছিলো। এবার তাই ট্রাই করলাম লাকসু। লাকসু মারমা ভাষার শব্দ। বাংলায় কি বুঝায় সেটি অবশ্য জানা নাই। কলি জানালেন তারা এটি সালাদ হিসেবে খেয়ে থাকেন। টেষ্ট অফ হিলসে লাকনুর মূল্য ৬০ টাকা।

খেতে খেতে মনে হলো এই জিনিস তো আমরাও খাই। গরুর মাংস বা তিল্লি সিদ্ধ করে হালকা একটু ভেজে নিতে হয়। সিদ্ধ করার সময় কিছু মশলা ব্যবহার করা হয়। তারপর ছেঁচে নিয়ে টুকরো করে পেঁয়াজ, লবন, কাঁচা মরিচ, ধনিয়া পাতা আর সরিষার তেল দিয়ে মাখানো হয়। আমরা বলি মাংসের ভর্তা বা তিল্লি ভর্তা। লাকসু অনেকটা এরকমই। এখানে কেবল মুরগীর সিদ্ধ মাংস ব্যবহার করা হয়। সরিষার তেল ব্যবহার করা হয় না। আর ব্যবহার করা হয় লেবুর রস।

একজন আদিবাসী তরুণী তার বাঙ্গালী বান্ধবীকে নিয়ে এসেছিলেন পাহাড়ি খাবার টেষ্ট করাতে। বাঙ্গালী ছাড়াও বেশ কিছু আদিবাসী তরুণ-তরুণী টেষ্ট অফ হিলসের খাবারের স্বাদ নিচ্ছিলেন। এখানে মূলত রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয় সহ আশেপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা আড্ডা দিতে আসে।

টেষ্ট অফ হিলসে ২/৩ রকমের মুংডি আর এই লাকসু পাওয়া যায়। রাইস নুডলস এর সাথে ডিম অথবা চিকেন অথবা দু্’টোই যোগ করে ২/৩ রকমের মুংডি তৈরী করা হয়। আপাতত পড়াশোনার চাপ থাকায় আইটেম বাড়াতে পারছেন না। তবে সামনের শীতে হয়তো আরো কয়েকটি আইটেম যোগ হবে।

গুগল করে জানলাম মাংস সিদ্ধ করার সময় আদা,রসুন সহ আরো কিছু মশলা দেয়া হয়। পরে ধনেপাতা, লেবুর রস, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, লবন ইত্যাদি দেয়া হয়। অনেকে স্বাদ বাড়াতে তেঁতুল এবং কচি বাঁশও ব্যবহার করে থাকেন।

টেষ্ট অফ হিলস উত্তরা ১৩ নাম্বার সেক্টরের ১৪ নাম্বার রোডে অবস্থিত। রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্টা দিকে শাহ মখদুম এভেনিউ দিয়ে ১৪ নাম্বার রোডে ঢুকতে পারবেন। সামান্য একটু হাটলেই হাতের বাম দিকে টেষ্ট অফ হিলস ফুডকার্ট পেয়ে যাবেন। আপনি ইচ্ছে করলে জমজম টাওয়ারের পিছন দিয়েও ১৪ নাম্বার রোডে ঢুকতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে বেশ খানিকটা পথ হাটতে হবে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।