শীতকালিন গোসল

শীতকালে শৈত্য প্রবাহ শুরু হলেই অনেকেই গোসলের প্রতি সুতীব্র বিরাগ অনুভব করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিনিয়তই জল ঘোলা করা হয়। নানা হাস্যরস আর কৌতুকের অবতারণা হয়। তারপরও পারলে দিনের পর দিন গোসল না করে কাটান অনেকেই। এই সময় গিজার সহ পানি গরম করার নানা বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বিক্রিও বেড়ে যায়। অনেকেই আবার চিরচেনা পদ্ধতিতেই মানে চুলায় পানি গরম করে কাজ সারেন।

এবার চলুন আমি এসময় কিভাবে গোসল করি সেটি বর্ণনা করি। আমি সনাতন পদ্ধতি মানে চুলায় পানি গরম করি। মোটামুটি ধোয়া উঠা গরম পানি বালতির সিকিভাগ পূর্ণ করে বাথরুমে যাই। এরপর কল ছেড়ে দেই সেই গরম পানি ভর্তি বালতিতে। পানির তাপমাত্রা যখন মোটামুটি শরীরের সহ্য করার মতো অবস্থায় চলে আসে তখন পুরো শরীরে কয়েক মগ পানি ঢেলে কল বন্ধ করে দেই। এরপর যথাবিহিত সাবান / শ্যাম্পু ব্যবহার করি। আবার কল ছেড়ে দিয়ে সেই কিঞ্চিত গরম পানি দিয়েই গোসল করতে থাকি। কল যেহেতু ছাড়াই থাকে পানি একসময় গরম থেকে ঠান্ডা হয়ে আসে। তবে এতে কোন সমস্যা হয় না। বরং শুধূ গরম পানি দিয়ে গোসল করার পর যেরকম শীত শীত লাগে, সেরকম হয় না।

এভাবে নিশ্চিন্তে আপনি শীতকালে গোসল করতে পারেন। এতটুকু শীতার্ত অনুভব করবেন না।

ভাল থাকুন, শীতে নিয়মিত গোসল করুন।

ফটো ক্রেডিট : Skyler King

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।