ষ্টপ মোশন ভিডিও

ষ্টপ মোশন ভিডিও কিভাবে তৈরী করে সে সম্পর্কে ধারণা ছিলো, কিন্তু কখনই নিজে হাতে কলমে চেষ্টা করে দেখিনি। সেদিন ইউটিউব দেখতে দেখতে হঠাৎ করেই বাংলা একটি টিউটোরিয়াল চলে আসলো সামনে। সেই ভদ্রলোকের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করার পরে বেশ আগ্রহ জন্মে গেলো। এখন যেহেতু করোনার কারণে ঘরেই বসে থাকতে হচ্ছে, ভাবলাম চেষ্টা করতে ক্ষতি কি।

প্রথমেই চেষ্টা করলাম ভিডিও’তে যে ভাবে বলা হয়েছে সেভাবে মোবাইল দিয়ে তৈরী করতে। তৈরী ঠিক মতোই হলো। মোবাইলে দেখতে পারছিলাম ঠিকই। কিন্তু পিসিতে নিতে গিয়ে আর সেটি খূজে পাচ্ছিলাম না। শেষপর্যন্ত রণে ভঙ্গ দিয়ে ডিএসএলআর ক্যামেরা দিয়ে চেষ্টা করলাম। আমি যেহেতু ম্যানুয়াল মোডে ছবি তুলি, সব ছবি raw প্রসেস করে একটু বেশী সময় লাগলো। তারপর ফটোশপে তৈরী করতে গিয়ে রীতিমতো নাকানি চুবানি খেতে হলো। শেষতক অবশ্য তৈরী করতে পেরেছিলাম ৪ সেকেন্ডের ভিডিও।

পরে মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি দিয়ে অনলাইনেই একটি GIF এনিমেশন তৈরী করলাম কোন ঝামেলা ছাড়া। আপনিও চেষ্টা করলে খূব সহজেই তৈরী করে ফেলতে পারবেন এরকম ভিডিও।

প্রথমে যা করতে হবে আপনার মোবাইলটিকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বসাতে হবে যাতে কোনভাবে নড়াচড়া না হয়। এই নড়াচড়ার বিষয়টি খূবই দরকারী। সব ছবি (ফ্রেম) তোলার আগে সামান্য নড়ে গেলেও ইউটপুট ভিডিও দেখতে ভাল নাও লাগতে পারে।

মোবাইল একটি জায়গায় স্থির রেখে ছবি তোলা শুরু করুন। আপনার সাবজেক্ট এমন ভাবে সরাবেন যাতে একবারে অনেকখানি সরে না যায়, একটু একটু করে সরালে ভিডিও স্মুদ হবে। এভাবে ছবি তোলা শেষ করুন।

এখন ছবিগুলো নিয়ে কোন এনিমেশন এপ দিয়ে তৈরী করে ফেলতে পারবেন ভিডিও। আমি মোবাইলে ব্যবহার করেছি GIFShop নামের এপটি।

পরে সবগুলো ছবি পিসিতে নিয়ে GIFMaker নামের সাইট থেকে অনলাইনেই ভিডিও তৈরী করে ডাউনলোড করেছি।

ফটোশপে কিভাবে করবেন সেটি নাহয় অন্য আরেকদিন দেখানো যাবে। আপাতত মোবাইল দিয়ে তৈরী করে ফেলুন পছন্দের ভিডিও।

হ্যাপি ক্লিকিং

এই ভিডিও দেখে প্রথম চেষ্টা শুরু

আর এই ভিডিও দেখে অনুপ্রানিত হয়েছিলাম

ডিএসএলআর দিয়ে শ্যুট করা এবং ফটোশপে তৈরী আমার ভিডিও

আর এই ভিডিও মোবাইল দিয়ে শ্যুট করে অনলাইনে প্রসেস করা

আপাতত এইটুকুই






ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।