ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফি

ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফি করতে চাই, কিন্তু পারি না। এর অন্যতম কারণ ধৈর্য খূব কম ইদানিং। কোন জায়গায় গেলে ২/৩ মিনিট দেখে টপাটপ শাটার টিপে আরেক দিকে চলে যাই। ফলাফল যা হয় সেগুলো random snapshot ছাড়া আর কিছু না। আবার কম্পোজিশন / ফ্রেমিং নিয়েও দূর্বলতা আছে। লাইটিং নিয়ে তো মাথাই ঘামাই না বলতে গেলে। চলে আসার পর পিসি’তে ছবিগুলো যখন দেখি তখন মনে হয় এই ছবিটা আসলে এমনভাবে তোলা দরকার ছিলো।
 
ঢাকায় বা বাংলাদেশে ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফি আমার মতে একটু কঠিনই। এতো মানুষজন আর যানবাহন যে মিনিমালিষ্ট টাইপের কিছু শট নেয়া বেশ সমস্যার। আবার বেশীক্ষণ দাঁড়াতে গেলে বার বার মনে হতে থাকে এই বুঝি ক্যামেরা / ব্যাগ নিয়ে কেউ টান দিলো।
 
আপাতত তাই একটা ফটোগ্রাফি কোর্সে ভর্তি হয়েছি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ১১তম ফটোগ্রাফি কোর্স। অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু। কম্পোজিশন / ফ্রেমিং / লাইটিং বিষয়ে আরেকটু উন্নতি করার আশা করি। সেই সাথে ফটোওয়াকের বিষয়টিও মাথায় আছে। সবার সাথে থাকলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে হবে না।
 
এই ছবিটা তুলেছিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোডে। 
 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্বরোড

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।