সমস্যা

গতকাল গিয়েছিলাম ্একজনের সাথে ডায়গনষ্টিক সেন্টরে। টেষ্ট যখন চলছে তখন EEG টেষ্ট করানোর জন্য এক পরিবার আসলো। রোগী এক বাচ্চা মেয়ে। বয়স ৪/৫ বছর হবে হয়তো। ভদ্রলোক ঘুমন্ত মেয়েকে কোলে নিয়ে বসলেন আমার পাশেই। 

আলাপে জানলাম মেয়ে সোফা থেকে পড়ে গিয়েছিলো। তারপর বমি করে। এরপর আবার সব ঠিকঠাক। বাবা-মা আর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় নাই। কিন্তু কিছু দিন (বা মাস) পরে থেকেই সমস্যার শুরু। মেয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে গেলে বা কোন কারণে পড়ে গেলেই নাকি অজ্ঞান হয়ে যায়, খিচুনি হয়। এরপর তারা ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করেন। 

ডাক্তার সব শুনে এক নিউরো স্পেশালিষ্টের কাছে রেফার করে দেন। সেই স্পেশালিষ্ট ডাক্তার এই টেষ্ট করতে দিয়েছেন। সেই সাথে পরিবারটিকে সম্ভাব্য বড় কোন বিপদের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। বলেছেন টেষ্ট রিপোর্ট ঠিক থাকলে হয়তো ঔষধে কাজ হবে। কিন্তু তিনি আশংকা করছেন অন্য কিছু। সেটি হলে মেয়েটি হয়তো ভবিষ্যতে শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধি হতে পারে। 

যাওয়ার সময় দেখলাম মেয়েটি জেগে আছে। জুতা পড়া নিয়ে মনে হয় জেদ করছিলো। মা সরাসরি বাচ্চার মাথার পিছনে ঠাস ঠাস করে গোটা দুই চর মেরে দিলেন। ভদ্রলোককে আশেপাশে দেখলাম না।

আমি পুরোই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। মাথায় চর মারা নিয়ে যে কিছু বলবো বা বলা উচিত সেটি বলার মতো শক্তিও পেলাম না। 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।