সাবরিনা

হইচই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সদ্যই দেখে শেষ করলাম ৮ পর্বের ‘সাবরিনা’। গল্প খূব সাধারণ। দুই তরুণ রাস্তায় পড়ে থাকা এক অগ্নিদগ্ধ মহিলাকে নিয়ে আসে হাসপাতালে। চিকিৎসা শুরু হয়, সেই সাথে শুরু হয় পুলিশের তদন্ত। কাকতালীয় ভাবে দেখা যায় ভিক্টিম মহিলা আর তার ডাক্তারের নাম ‘সাবরিনা’। ঘটনার পর থেকেই ভিক্টিম মহিলার সাংবাদিক স্বামী নিখোঁজ। পুলিশ ধরেই নেয় কাজটি তার স্বামীর। 

ডাক্তার সাবরিনা একসময় আগ্রহী হয়ে উঠে ভিক্টিম সাবরিনার এই ঘটনার আদ্যোপান্ত খূজে বের করতে। খোঁজ নিতে গিয়ে বের হয়ে আসে বড় একটি গ্রুপ অফ কোম্পানি অন্য অনেকের জমির সাথে সাবরিনার নানার জমি ও জাল দলিল করে দখল করে ফেলেছে। সাবরিনা এবং তার স্বামী শওকত দূ’জনেই তৎপর হয় সে জমি উদ্ধারে। ঘটনার রাতে সাবরিনা’কে বাসা থেকে বের করে আনা হয় শওকতের এক্সিডেন্টের কথা বলে। বাসায় ফিরে শওকতও এই কথা শুনে বের হয়ে যায়। শেষ পর্বে দেখা যায় ডাক্তার সাবরিনা ফোন পায় শওকতের। বিস্তারিত জানতে ডাক্তার সাবরিনা রওনা হয়ে যায় শওকতের সাথে দেখা করতে। সেই কোম্পানির মালিকের ছেলে আসলে আটক করে রেখেছিলো শওকত’কে। এরপর পরই টিভিতে খবর প্রচারিত হয় পালাতে গিয়ে শওকত পুলিশের গুলিতে নিহত। তার ফোনের কললিষ্ট ধরে আরেকজন সহযোগীকে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।

শেষ দৃশ্যে দেখা যায় ডাক্তার সাবরিনা’কে বহনকারী সিএনজি অটোরিক্সাটি বিরান এক জায়গায় নষ্ট হয়ে যায়। সাবরিনা বের হয়ে আসে সিএনজি থেকে ….

To Be Continued ….

ওয়েব সিরিজ দেখতে দেখতে মাথায় ঘুরছিলো এক মেয়ের কাহিনী। উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া এই মেয়ে কোন এক ভাবে এক শিল্পপতির সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলো। ঘটনা পরস্পরায় সে আত্মহত্যা করে একদিন। মামলা হয় শিল্পপতির বিরুদ্ধে। পুলিশ তদন্ত করে শিল্পপতির দোষ খূঁজে পায় না। এরপর দেখা যায় তাবৎ মিডিয়া এই শিল্পপতিকে ‘ফুলের মতো পবিত্র’ প্রমাণে মাঠে নামে। বাদ যায় না জাতীয় মসজিদও। কি আর করা। টাকা আর প্রভাব প্রতিপত্তির কাছে আজ আসলে আমরা সবাই অসহায়। 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।