সেকালে জনগণ হিউম্যান ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করতো, আমরা একালে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করি। বাই দ্য ওয়ে, ছোটবেলায় অবশ্য গলাকাটা পাসপোর্টের কথা বেশ শুনতাম। সেটা অবশ্য হিউম্যান ইন্টিলিজেন্স ই ছিলো। তৎকালিন পূর্ববঙ্গ তথা বর্তমানের বাংলাদেশে (মূলত ঢাকা) ফটোগ্রাফি চর্চার ইতিহাস নিয়ে লেখা বইটি বেশ সুখপাঠ্য।
“মলয় রায়চৌধূরী তাঁর পূর্বপূরুষ ফটোগ্রাফারের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অভিনব কিছু অভিজ্ঞতার উল্লেখ করেছেন। অনেক সময় খদ্দের নিজের মা বা স্ত্রীর পুরাতন আবছা কোনো ছবি নিয়ে ফটোগ্রাফার লক্ষ্মীনারায়ন রায়চৌধূরির কাছে হাজির হতো। দেখা যেতো ছবিতে শুধূ মুখটা দেখা যাচ্ছে। খদ্দের আবদার থাকতো পূর্ণ অবয়বের যাতে করে ফ্রেমিং করে প্রণামের জন্য ঝোলানো যায়। এই আবদার পূরণের জন্য বাড়ির মহিলাদের কখনো পূজায় বসে, কখনো অ্যান্টিক কোন চেয়ারে বসে পোজ দিতে হতো। এরপর পরিবারের মহিলার মুখের জায়গায় খদ্দেরের মা বা স্ত্রীর ছবি বসিয়ে ফিনিশিং দেয়া হতো।” (পৃষ্ঠা ১৫৭-১৫৮)
সেকালের ছবিওয়ালা
তারেক আজিজ
কবি প্রকাশনী
মূদ্রিত মূল্য : ৪০০ টাকা মাত্র


ফেসবুক মন্তব্য