বাণিজ্য মেলা

ফেরার পথে আমি নাবিস্কো থেকে এসোর্টেড বিস্কুট আর অলিম্পিক থেকে বিভিন্ন ধরণের কেক এর প্যাকেট কিনলাম। অলিম্পিকের ষ্টলে দুটো বিস্কুট দিলো টেষ্ট করার জন্য। আর কেক কেনার সময় বঙ্গ (ওটিটি) এর গিফট কার্ড দিলো, এক মাসের সাবস্ক্রিপশন।

সাহায্য

আমি হেসে দিয়ে বললাম আপনি যদি শুরুতেই বলতেন ১৫ নাম্বার সেক্টরে যাবেন তাহলে এই বাসে উঠার দরকারই ছিলো না। মে্ট্রো থেকে নেমেই রিক্সা নিয়ে সরাসরি ১৫ নাম্বারে যেতে পারতেন। ষ্টেশন ১৫ নাম্বার সেক্টর শেষ বা শুরুতেই ছিলো।

নাইকন মিররলেস

নাইকন জেড সিরিজ মিররলেস (এবং যেসব ডিএসএলআর এ ওয়্যারলেস কানেক্টিভিটি আছে) ক্যামেরার জন্য স্ন্যাপব্রিজ একটি চমৎকার এপ। ক্যামেরার সাথে মোবাইল ফোন / ট্যাব কানেক্ট করে বেশ কিছু সূবিধা পাওয়া যায়। কানেক্ট করা থাকলে ছবিতে লোকেশন ডেটা, মানে জিপিএস কোঅর্ডিনেট এড হয়ে যায়। অবশ্য আপনাকে কিছু সেটিংস অন করতে হবে। দ্বিতীয়ত আপনি ক্যামেরা থেকে মোবাইলে ছবি ডাউনলোড করতে পারবেন। সাথে ছবিতে ছবির ইনফো অতবা ফটোগ্রাফার এর নাম সহ কপিরাইট ইনফো ভিজ্যুয়ালী এড করা যায়। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করা অনেক সহজ। আর তৃতীয়ত মোবাইল দিয়েই বেসিক ক্যামেরা কন্ট্রোল করতে পারবেন। যেমন শাটার রিলিজ, এপারচার, শাটার স্পিড, আইএসও পরিবর্তন। সাথে লাইভ ভিউ ও পাবেন। শাটার রিলিজ এর জন্য আলাদা করে রিমোট শাটার রিলিজ ML-L7 কেনার দরকার হয় না।

শেয়ার বাজার

ফ্লোর প্রাইস তোলার আগে ক্ষতি (unrealized) ছিলো ৪০-৪৫ হাজার টাকার মতো। ফ্লোর প্রাইস তোলার পর শেয়ার দর কমবে এটা প্রত্যাশিতই ছিলো। এখন ক্ষতি (unrealized) ৯০+ হাজার টাকা। ভাল ভাল শেয়ার ভাল ডিভিডেন্ড ঘোষনার পরও দাম বাড়তেছে না। যেমন সিঙ্গার ৩৫% ডিভিডেন্ড ঘোষণার পরও দাম বাড়ে নাই। আমার কেনা দামের চাইতেও ১০ টাকা কম এখনও। আমার যে দামে কেনা এবং যে পরিমাণ কেনা তাতে ডিভিডেন্ড ও একেবারেই নগণ্য।

সমস্যাই বটে

ধারণা ছিলো না এই ৬ সেন্টের জিনিস কেউ পাঠাবে। কিন্তু ঠিকই পাঠিয়েছে। আজ পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে হাতে পেলাম।
(অর্কিড দেখতে যত ভাল লাগে, আমার এ সম্পর্কে জ্ঞান তত কম। কিভাবে লাগাবো খুজতে গিয়ে দেখি ছোট-মোট একটা ল্যাব দরকার বীজ থেকে চারা গজানোর জন্য)

মেট্রো ষ্টেশনে একদিন

মেট্রোরেল হয়ে আমার খূব উপকার হয়েছে। যখন থখন বের হতে পারি ছবি তোলার জন্য। এই যেমন গতকাল বের হয়েছিলাম দুপুরের পর। উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল। আবার মতিঝিলে কিছু ঘোরাঘুরি করে উত্তরায় ফিরেছি।

মেট্রোরেল ইদানিং

সন্ধ্যায় ফেরার সময় বসার আর সূযোগ পেলাম না। পুরোটা সময় দাঁড়িয়ে আসতে হলো। প্রতিটি ষ্টেশন থেকে লোক কেবল উঠছেই। আগারগাঁও এসে বেশ কিছু যাত্রী নামলো, উঠলো মনে হয় সমপরিমান। তবে পল্লবী আসার পর কোচ কিছুটা হালকা হলো। 

ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফি

আমি নিজে ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফিতে খূব একটা সহজ সাবলিল না। বেশীর ভাগ সময় দেখা যায় মোমেন্ট মিস করি। তারপর ঢাকার রাস্তায় এতো এতো মানুষজন আর গাড়ী, সাথে আরো কত কি। ফলে সাবজেক্টকে আলাদা করে তোলার কাজে আমি একেবারেই অপটু। সেই সাথে আছে সবকিছু ট্যাক শার্প করার প্রবণতা। ফলে ষ্ট্রীট ফটোগ্রাফি কেবলই ছবি একটা আমার বেলায়।

বাংলার প্রেমে ঊইকি

প্রথমবারের মতো শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ‘‘বাংলার প্রেমে উইকি ২০২৪’’ (Wiki Loves Bangla)। আলোকচিত্রের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার চেষ্টা থেকেই প্রতিবছর এই আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিযোগিতাটি ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবাবের বিষয় ‘বাংলার রন্ধনশৈলী’।

স্বপ্ন

বাসায় এসে ছবি ডাউনলোড করার সময় মনে হলো ছেলেটা হয়তো পড়ালেখা করতো। হয়তো আরো পড়ালেখা করে বড় কিছু করার স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে। প্রয়োজনের তাগিদেই এখন ফুটপাতে জামাকাপড় বিক্রি করে। সেকারণেই হয়তো সূযোগ পেলেই ইংরেজীতে কথা বলে।