নাইকন জেডএফ

নাইকন জেডএফ একটি ফুল-ফ্রেম মিররলেস ক্যামেরা, যা পুরোনো দিনের ডিজাইন এবং আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়েছে। ক্লাসিক Nikon FM2 ফিল্ম ক্যামেরার আদলে ডিজাইন করা হলেও, এতে বর্তমান যুগের উন্নত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা আধুনিক ফটোগ্রাফির জন্য বেশ উপযোগী।

প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ :

  • সেন্সর এবং প্রসেসর : নাইকন জেডএফ-এ ২৪.৫ মেগাপিক্সেল ফুল-ফ্রেম সেন্সর রয়েছে, যা নাইকন জেড৬ II এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি Expeed 7 প্রসেসর দ্বারা পরিচালিত হয়, যা নাইকনের ফ্ল্যাগশিপ Z9 মডেলেও ব্যবহৃত হয়েছে। এই প্রসেসর দ্রুতগতির পারফরম্যান্স, উন্নত অটোফোকাস, এবং অসাধারণ ইমেজ কোয়ালিটি সরবরাহ করে। 
  • অটোফোকাস এবং ট্র্যাকিং : জেডএফ-এ ২৯৯ টি অটোফোকাস পয়েন্ট রয়েছে, যা মানুষ, প্রাণী এবং যানবাহনকে ট্র্যাক করতে সক্ষম। এই হাইব্রিড ফেজ-ডিটেকশন এবং কনট্রাস্ট-ডিটেকশন AF সিস্টেম অত্যন্ত উন্নত, তবে খুব কম আলোতে এটি কিছুটা ধীর হতে পারে।
  • ভিডিও ক্ষমতা : এটি 4K ভিডিও রেকর্ডিং সমর্থন করে, যা 30p পর্যন্ত এবং 6K থেকে ওভারস্যাম্পলড। 1080p তে 120p স্লো-মোশন ভিডিও রেকর্ডিং করার সুবিধাও রয়েছে। উচ্চতর মডেলের তুলনায় কিছু উন্নত ফিচার কম থাকলেও এটি সাধারণ ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট ক্ষমতাসম্পন্ন।
  • ডিজাইন এবং বিল্ড কোয়ালিটি : এই ক্যামেরার একটি বিশেষ দিক হলো এর রেট্রো ডিজাইন, তবে এতে আধুনিক সুবিধাগুলোও রয়েছে যেমন ভ্যারিঅ্যাঙ্গেল টাচস্ক্রিন এবং USB-C চার্জিং। এর বডি বেশ কমপ্যাক্ট হলেও, দীর্ঘ সময় ধরে ব্যবহার করলে কিছুটা অস্বস্তি হতে পারে। বডির উপরের এবং নিচের প্লেট দুটি ম্যাগনেশিয়াম এলয় এর তৈরী এবং বাকি অংশ প্লাষ্টিকের। ডায়fলগুলি পিতল এর তৈরী।
  • স্টোরেজ : ক্যামেরাটিতে দুটি মেমরি কার্ড স্লট রয়েছে—একটি এসডি এবং অন্যটি মাইক্রো এসডি। এই বিশেষ সমন্বয় উচ্চ গতির শুটিং-এর ক্ষেত্রে কিছুটা সীমাবদ্ধ হতে পারে, কারণ মাইক্রো এসডি স্লট শুধুমাত্র UHS-I গতির সমর্থন করে।
  • ইমেজ স্টেবিলাইজেশন : এতে ৫-অ্যাক্সিস ইন-বডি ইমেজ স্টেবিলাইজেশন রয়েছে, যা AI দ্বারা সহায়তা পায় এবং ৮ স্টপ পর্যন্ত ভাইব্রেশন রিডাকশন দেয়। এটি হাতে ধরে শুটিং করার সময় বিশেষ করে কার্যকর।

নাইকন জেডএফ ক্যামেরাটি তাদের জন্য আদর্শ যারা একটি রেট্রো ডিজাইন পছন্দ করেন, তবে আধুনিক কার্যকারিতা এবং ইমেজ কোয়ালিটি থেকে কোনও কম্প্রোমাইজ করতে চান না। যদিও এটি অত্যন্ত দ্রুত গতির পেশাদার কাজের জন্য (স্টোরেজ এবং আরগোনমিক্সের কারণে) পুরোপুরি উপযুক্ত নয়, তবে ইমেজ কোয়ালিটি এবং সাধারণ বহুমুখীতার জন্য এটি দুর্দান্ত।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।