পলায়ন

ঘটনা আসলে ছিলো অন্য রকম। এই দুইজন সাধারণত বাসার বাইরে খূব একটা যেতো না। কারণ ভাষা। দুজনেই ইয়েস, নো, ভেরি ওয়েল ছাড়া তেমন কিছু বলতে পারতো না। বাবুর্চি মাঝে মধ্যে বাইরে গেলেও তার দৌড় ছিলো বাসার কাছের গ্রোসারী ষ্টোর। আর মেয়ে গৃহকর্মী বাইরে যেতো চাচীর সাথে। দুরে কোথাও বেড়াতে গেলে দু’জনকেই সাথে করে নিয়ে যাওয়া হতো। 

গৃহকর্মী

আধুনিক শহুরে জীবনে বাসাবাড়ির কাজে সাহায্য করার জন্য গৃহকর্মী এক অপরিহার্য অনুষঙ্গে পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে নিউক্লিয়াস পরিবারের কর্মজীবী দম্পত্তির ঘরে রান্না-বান্না, কাপড় ধোয়া, ঘর গোছানো সহ অন্যান্য কাজ করাতে গৃহকর্মীর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কিন্তু গৃহকর্মী বাছাইয়ে ভুল হলে “খাল কেটে কুমির আনার” মতো বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে আপনার জীবনে, দিতে হতে পারে ভয়াবহ খেসারত–যেমনটি দিয়েছেন ডা. বিচিত্রা রাণী দে নামের একজন চিকিৎসক।

কোন এক পার্কে

ষ্টকহোম ডায়েরী (৭)

এভাবেই চলছিলো। হঠাৎ করে বাবুর্চি অসুস্থ্য হয়ে সব ওলট পালোট হয়ে গেলো। অসুস্থ্য বাবুর্চিকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নেয়া হলো চিকিৎসার জন্য। যেহেতু ইংরেজী বা সুইডিশ বলতে পারে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই একজন বাংলাভাষীকে ডেকে আনলেন অনুবাদক হিসেবে। চিকিৎসা হলো, বাবুর্চি বাসায় ফিরে এলো এবং ২ দিনের মাথায় গৃহকর্মীকে নিয়ে পালিয়ে গেলো সূযোগ বুঝে। বড় কাক্কা প্রায় সাথে সাথেই পুলিশ ষ্টেশন সহ প্রয়োজনীয় সব জায়গাতেই রিপোর্ট করলেন। পুলিশ কিছু সময় পরে জানালো দু’জন তাদের কাষ্টোডিতেই আছে, তারা নাকি রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছে। তবে সুইডিশ আইন অনুযায়ী তাদের সাথে যোগাযোগ করা বা কথা বলার কোন সূযোগ ছিলো না।