বাংলাদেশ বেতার লোগো

বাংলাদেশ বেতার

সূচনাপর্ব থেকেই বেতার সকল শ্রেণীর মানুষের কাছে স্বল্পমূল্য, সহজে বহনযোগ্যতা ও বিষয়বস্তুর সাবলীল উপস্থাপনের গুণে তথ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের প্রধান উৎসে পরিণত হয়। আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্রগুলির শ্রোতাবৃন্দ নিজেদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি ও আর্থ-সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠে। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে বেতারের স্টাফ আর্টিস্টরা ২১ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান সম্প্রচারে বিরত থাকে। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর রেসকোর্সের ভাষণ বেতারে প্রচারে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বেতারের কর্মকর্তা কর্মচারী শিল্পী ও কুশলী রাজপথে নেমে আসে। পরদিন সকালে পাকিস্তানী সামরিক কর্তৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্প্রচারে সম্মত হলে বেতারকর্মীরা পুনরায় বেতার কেন্দ্র চালু করে। ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী বাহিনী ঢাকায় গণহত্যা শুরু করলে চট্টগ্রাম বেতারকর্মীরা পরদিন চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র হিসেবে অভিহিত করে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচার করে। মুক্তিযুদ্ধ এগিয়ে নিতে ২৫ মে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার শুরু হয় এবং প্রবাসী সরকার ডিসেম্বরে ঢাকায় ফিরে এলে এই কেন্দ্রের সমাপ্তি ঘটে। এই পর্যায়ে স্বাধীন বাংলাদেশের ৬টি আঞ্চলিক বেতার কেন্দ্র অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে।