মহারাজ লজ

মহেড়া জমিদার বাড়ী

মহেড়া জমিদার বাড়ি টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১৮৯০ সালে কালীচরণ সাহা প্রতিষ্ঠা করেন। কালীচরণ সাহা এবং আনন্দ সাহা নামে দুই ভাই কলকাতা থেকে মহেড়া গ্রামে আসেন। তাদের পরবর্তী বংশধর ‘রায় চৌধূরী’ উপাধি গ্রহণ করেন। জমিদারি কাজের পাশাপাশি তারা পাট এবং লবণের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তাদের মালিকানায় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিপুল জমি ছিল। দেশভাগ (১৯৪৭) ও স্বাধীনতা যুদ্ধের (১৯৭১) সময় তাদের বেশিরভাগ সদস্য ভারতে চলে যান। 

জমিদার বাড়ী

ভিতরে ঢোকার পর বাইরে থেকেই সব স্থাপনা দেখতে হয়। ২/৩টা রুম দর্শনার্থীদের দেখার জন্য খোলা রাখা যেতো। কিছু রুমে নাকি রাত্রী যাপন করা যায়। কিন্তু কেউ ই রুম ট্যারিফ বা রুম গুলো কেমন সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারলো না। তাদের একটাই কথা ঢাকায় যোগাযোগ করতে হবে। টিকেটের গায়ে ঠিকানা / ফোন নাম্বার দেয়া ছিলো। তবে রিসোর্ট হিসেবে তেমন আকর্ষণীয় কিছু মনে হয় নাই। বিশাল একটি পুকুর আছে, বাগানও আছে। তবে অফ সিজন বলে তেমন ফুল ছিলো না। ভিতরে রোমিও-জুলিয়েটদের দেখা গেলো। আমি থাকা অবস্থায় গোটা দূ’য়েক পরিবারও দেখলাম।

ছাদ বাগান

সাম্প্রতিক ঘাটাইল সফরে যে ভাগ্নের বাসায় ছিলাম সে বাসায় চমৎকার একটি ছাদ বাগান আছে। বাসার কর্ত্রী আর তাদের দুই মেয়ে নিয়মিত এই ছাদ বাগানের পরিচর্যা করে। বাগানে ফুল গাছের পাশাপাশি কিছু ফলের গাছও আছে। সবচেয়ে বেশী অবাক হয়েছিলাম মাল্টা আর কমলা গাছ দেখে। আমি যেটাকে পেয়ারা মনে করেছিলাম পরে শুনি সেটা আসলে কমলা। ছাদে বড় করে টব তৈরী করে ফল গাছগুলি লাগানো হয়েছে। ফুল গাছগুলি সাধারণ প্লাষ্টিক টবে। দোতালার ছাদ (অর্ধেক) আর ৩ তলার ছাদ (অর্ধেক) জুড়ে এই বাগান। 

ঢাকা টাঙ্গাইল হাইওয়ে

কালিয়াকৈর থেকে মহাসড়কে চলতে আপনার বেশ ভাল লাগবে। ধীরগতির যানবাহনগুলি নিয়ম মেনে সার্ভিস লেন দিয়ে চলছে। একমাত্র ব্যতিক্রম কিছু মোটর সাইকেল। তারা নিজেদের এবং মোটর সাইকেলের কারিশমা দেখানোর জন্য মূল সড়ক দিয়ে বাস-ট্রাকের সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে। একজন মোটর সাইকেল আরোহীর পিছনে দেখলাম একজন মহিলা দেখলাম পাশ ফিরে বসেছেন এবং মোটর সাইেল চলছে মূল সড়ক দিয়ে। এটা যে কতোটুকু বিপদজনক সেটা তারা হয়তো বুঝেও বুঝে না। একপাশের সার্ভিস লেন থেকে অন্য পাশের সার্ভিস লেনে যাওয়ার জন্য জায়গায় জায়গায় আন্ডারপাস আছে। পথচারী পারাপারের জন্য আছে ওভারব্রীজ।