হ-য-ব-র-ল

স্মৃতিশক্তি দিন দিন কমতেছে। অথচ আমার স্মৃতিশক্তি অন্যান্যদের তুলনায় ভাল এই নিয়ে বেশ গর্ব ছিলো। সেদিন বাসায় কয়েকজন মেহমান এসেছিলেন। আমি ভাগ্নের শ্বশুরকে জিজ্ঞাসা করেছি ‘আপনার মা কেমন আছেন’। ভদ্রলোক খূব অবাক হয়ে বললেন ‘মা তো নাই। গত জানুয়ারীতে মারা গেছেন’। আমি তো পুরাই বেকুব হয়ে গেলাম।

হাসপাতাল

চিকিৎসা এবং মানসিকতা

আমি সব সময়ই দেখেছি চিকিৎসায় টাকা বাঁচাতে গেলে  হিতে বিপরীত হয়। কারো একেবারেই চিকিৎসা করানোর সামর্থ না থাকলে সেটি ভিন্ন বিষয়। কিন্তু মোটামুটি কষ্ট করে হলেও চিকিৎসা করাতে পারবেন এমন ক্ষেত্রে টাকা সাশ্রয় করতে গিয়ে হোমিওপ্যাথি, কবিরাজি এসব করতে যাওয়া ঠিক না। আপনার সাধারণ জ্বর হয়েছে, ঠান্ডা লেগেছে, মুখে ব্রণ দেখা যাচ্ছে – আপনি হোমিওপ্যাথি করেন সেটা মানা যায়। কিন্তু আপনার ক্যান্সার হয়েছে অথবা সার্জারি করতে হবে এমন কিছু, আপনি হোমিওপ্যাথি করার মতো বোকামি কেন করবেন।

ক্যান্সার

আমার দেখা প্রথম ক্যান্সার রোগী ছিলো প্রাপ্তি। সেসময় ৫ বছর বয়স ছিলো ওর। হয়েছিলো ব্লাড ক্যান্সার। সে সময় সামহোয়্যার ইন ব্লগারবৃন্দ প্রাপ্তির জন্য ক্যাম্পেইন করেছিলো তার চিকিৎসার খরচ জোগাড় করার জন্য। গতবছর প্রাপ্তির ফুফু সারিয়া তাসনিম’কে জিজ্ঞেস করেছিলাম প্রাপ্তির কথা। সে এখন পুরো সুস্থ্য। পড়াশোনা করছে। সারিয়ার কাছ থেকেই শুনেছিলাম সেই অল্প বয়েসেই মেয়েটাকে কেমো থেরাপীর মতো কষ্টকর চিকিৎসা নিতে হয়েছিলো। তবে সব ভাল যার শেষ ভাল, মেয়ে এখন সুস্থ্য।