কোন এক পার্কে

ষ্টকহোম ডায়েরী (১৫)

বাসায় ফিরে এসে ভাবছিলাম আমাদের দেশেও আসলে এ রকম ক্যাম্পিং এর দরকার। ২৪ বছর বয়েসে প্রথম বিদেশে গিয়েছি, রান্না করা তো দূরে থাক অনেক কিছুই জানতাম না। প্রতি পদে পদে সমস্যা। স্বল্পকালীন প্রবাস জীবনে দিন তিনেক একা থাকতে হয়েছিলো, বাসার সবাই বাইরে গিয়েছিলো ঘুরতে। রান্না করাই ছিলো, আমাকে কেবল গরম করতে হবে এবং ভাত রান্না করতে হবে। প্রথমদিনের ভাত কেমন যেন গলা গলা হয়ে গেলো, দ্বিতীয় দিন গেলো পুড়ে। তৃতীয় দিন আরো কোন ঝামেলা না করে বার্গার আর রুটি কিনে এনেছিলাম। মেয়েরা মায়েদের সাথে থেকে এসব অনেক কিছুই শিখে। গ্রামের ছেলেরাও দেখেছি অনেক কিছুই পারে। সমস্যা কেবল আমার মতো শহরে বড় হওয়া ছেলেদের নিয়ে।  কিছুই শেখা হয় না। অথচ আমদের কেবল বই মূখস্ত করে পরীক্ষা দেয়ার পর সার্টিফিকেট একটা ধরিয়ে দেয়া হয়। চাকরি করতে গেলেও দেখা যায় পড়ার সাথে কাজকর্মের কোন মিল নাই। বাংলায় অনার্স-মাষ্টার্স করে ব্যাংকে কেরানীগীরি করে জীবন পার করেছেন এরকম উদাহরণ অনেক।