চিকিৎসা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি ভিডিও চোখে পড়লো Thread এ। আমি অবশ্য উচ্চারণ দেখে আন্দাজ করেছি এটি পশ্চিমবঙ্গের।
 
একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তাকে সময়মতোই সরকারী হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ডাক্তার সাহেব মহিলাকে দেখতে আসেন নাই। মৃতার আত্মীয়স্বজনদের ভাষ্য তিনি দুটো পয়সার জন্য তখন বেসরকারী কোন এক নার্সিংহোমে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।
 
তবে রোগীর আত্মীয়স্বজন এক অভিনব কান্ড করে বসলেন। কোন রকম রাগারাগি না, মারামারি তো নয়ই। তারা মৃতার ডেডবডির সামনে ডাক্তার’কে নিয়ে এসে তাকে মালা দিয়ে বরন করলেন এবং ৫/১০ টাকা করে তার হাতে গুজে দিলেন।
 
এরকম ঘটনা তো আমাদের দেশেও ঘটে। মাঝে মধ্যে দেখা যায় এসব অভিযোগে হাসপাতাল ভাঙ্গচুর, ডাক্তার-ষ্টাফদের শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও ঘটে। এরপর আবার বিচারের দাবীতে ডাক্তারদের লাগাতার ধর্মঘট। এটা ঠিক যে এই দেশে সবকিছু ঠিকমতো হয় না। রোগীর অনুপাতে ডাক্তার-নার্স-হাসপাতাল অপ্রতুল অনেক সময় হয়তো ইচ্ছে থাকলেও সময়মতো সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না। তবে মুষ্টিমেয় কিছু চিকিৎসক যে এই সূযোগের সদ্ব্যবহার করেন, সেটাও সত্যি। আবার একনাগাড়ে ৬০/৭০ জন রোগী দেখলে এক-আধটা ভুল যে করবেন না তার নিশ্চয়তা কি !?!
 
রাগারাগি / মারামারি করে আসলে কিছু হয় না। তারচেয়ে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা যেতে পারে। অবশ্য টাকার কাঙ্গাল হয়ে গেলে কোন কিছুতেই কিছু হবে না।
 
ভিডিও লিঙ্ক এখানে

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।