স্বপ্ন

গতকাল (১৪ই জানুয়ারী, ২০২৪) গিয়েছিলাম বসুন্ধরা সিটি’তে কাজে। ফেরার পথে হাতে ক্যামেরা নিয়ে টুকটাক ছবি তুলতে তুলতে মেট্রো ষ্টেশনের দিকে যাচ্ছি। বসুন্ধরা সিটি’র একটু সামনেই হরেক রকম পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা। হঠাৎ এই ছেলে ‘হ্যালো স্যার’ বলে একটা হাসি দিলো। আমি কিছু বলার আগেই সে ইংরেজীতে কথা বলা শুরু করলো। আমি মনে মনে তখন ভাবছি আমাকে যেরকমই দেখা যাক বিদেশী ভাবার তো কোন কারণ নাই। উপমহাদেশের লোকজনকে অবশ্য আমরা বিদেশী মনে করি না। যাই হোক আমি পরিস্কার বাংলায় বললাম তোমার একটা ছবি তুলি। ছবি দেখানোর পরে সে ইংরেজীতেই বললো ‘WOW ! Your camera is so nice.’
 
বাসায় এসে ছবি ডাউনলোড করার সময় মনে হলো ছেলেটা হয়তো পড়ালেখা করতো। হয়তো আরো পড়ালেখা করে বড় কিছু করার স্বপ্ন ছিলো। কিন্তু সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে। প্রয়োজনের তাগিদেই এখন ফুটপাতে জামাকাপড় বিক্রি করে। সেকারণেই হয়তো সূযোগ পেলেই ইংরেজীতে কথা বলে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।