ডিজিটাল ব্যাংকিং

কিছুদিন আগে সোনালী ব্যাংকের সোনালী ই ওয়ালেট এপ চালু হলো। প্রায় একই সাথে বিকাশ এপে সোনালী ব্যাংকের একাউন্ট এড করার অপশন পাওয়া গেলো। এই করোনা কালে এই দুই সেবা যে কি পরিমান কাজে লাগছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
 
এখন ব্যাংকে না গিয়েও সোনালী ব্যাংক একাউন্ট থেকে বিকাশে / বিকাশ থেকে সোনালী ব্যাংক একাউন্টে টাকা আনা / পাঠানো যাচ্ছে। মানে বাসার কাছের বিকাশ এজেন্ট মারফত টাকা তুলতে বা পাঠাতে পারছি। আরেকটু খোলাসা করে বললে সোনালী ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তুলতে চাইলে প্রথমে সেটা সোনালী ই ওয়ালেট বা বিকাশ এপ দিয়ে নিজের বিকাশ একাউন্টে এনে তারপর ক্যাশআউট করতে হবে। অন্যদিকে ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা করতে চাইলে আগে নিজের বিকাশ একাউন্টে টাকা ক্যাশইন করে তারপর বিকাশ এপ থেকে একাউন্টে ট্রান্সফার করতে হবে।
 
ক্যাশআউটের জন্য হাজারে ১৮.৫০ টাকা এবং ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে হাজারে ১০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। তারপরও ব্যাংকে গিয়ে গাদাগাদি ভীড়ের মধ্যে করোনা বাঁধানোর চাইতে এ অনেক ভালো।
 
আশা করবো ক্যাশ আউট এবং ট্রান্সফার চার্জ আরো কিছুটা কমানো হবে।

ঘরেই থাকুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।