হালাল

বাজারে আগে দুইজনে মিলে মুরগি জবাই এবং ড্রেসিং করতো। জবাই বলতে কোন রকমে গলা কেটে ঘাড় মটকে দিতো। বিসমিল্লাহ বলতো কিনা খেয়াল করি নাই। বাসাতে মুরগি নিয়ে আসলে বাসার সামনে সব করতো। এখন নাকি ড্রেসিং করে মেশিনে। তবে জবাই কিভাবে করে জানা নাই। অনলাইনে দেখেছিলাম বিদেশে সবই করে মেশিনে, প্রথমে ছোট এক ইলেক্ট্রিক শক দিয়ে (মুরগী থেকে শুরু করে গরু, ভেড়া, শুকর) মারা হয়। তারপর ড্রেসিং / প্রসেস করা হয় মেশিনে। হাতের কোন কাজ কারবার নাই। চাইনিজরা নাকি এক মেশিন তৈরী করেছে যেটাতে প্রতিবার শক দেয়ার সময় ‘বিসমিল্লাহ’ রেকর্ড বাজে। প্রবাসী এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম যেখানে শুকর প্রসেস করা হয়, সেখানেই হালাল গরু, ভেড়া, মুরগী প্রসেস করে। কেবল ক্লায়েন্ট ভিন্ন।

ফেসবুকে এই পোষ্টটি দেখে কথাগুলো লিখেছিলাম।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।