পাপ-পূণ্য

বাংলাদেশের মুসলমানদের মনে বদ্ধমূল ধারণা তারা জীবনে যত পাপ কাজই করুক না কেন শেষে একটা ভাল (?) কাজের ফিনিশিং দিতে পারলে তাদের সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। বাস্তবজীবনে তারা যেমন টাকা দিয়ে সবকিছু ম্যানেজ করে চলেন তেমনি আর কি। গোপালপুরের ২০১ গম্বুজ মসজিদ তৈরীর যিনি উদ্যোক্তা সেই রফিকুল ইসলাম ছিলেন জনতা ব্যাংকের সাধারণ কর্মচারী। হয়েছিলেন সিবিএ নেতা। কি এক জাদুর কাঠির জোরে তিনি বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক বনে গিয়েছিলেন। এখন সেই বিত্ত বৈভবের বদৌলতেই নির্মাণ করেছেন এই বিশাল মসজিদ। সব সম্পদ নাকি তিনি ওয়াকফ্ করে দিয়েছেন মসজিদের নামে, তার আর কোন সম্পদ নাই।
 
এদেশের লোকজন অবশ্য পিছনের কিছু দেখে না, বুঝে না। তারা লেবাসের বড় ভক্ত। আর এতো বড় মসজিদ দেখে হয়তো ভুলেও মনে করবে না এই মসজিদ তৈরীর টাকা পুরোটাই দূর্নীতি ফসল।
 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *