ডিজেআই অসমো পকেট

মাত্র সপ্তাহ খানেক হলো এই ছোট্ট ক্যামেরাটি কিনেছি। আসলে এটিকে শুধূ ক্যামরা বললে ভুল হবে। এটি আসলে ছোট একটি গিম্বালের উপর বসানো একশন ক্যামেরা। পূরো জিনিসটিউ হাতের তালুতে এটে যায়। অনেক সময়েই ডিএসএলআর এর মতো বড় আর ভারী ক্যামেরা নিয়ে বের হওয়া বিশাল ঝামেলার ব্যাপার। আর পথে ঘাটে অনেক সময়েই মনে হয় ক্যামেরা না এসে ভুল হয়ে গেলো। এই ছোট জিনিসটি আপনি পকেট কিংবা পার্সে নিয়ে ঘুরতে পারবেন। ইচ্ছে হলেই বের করে ফটো তুলতে বা ভিডিও করতে পারবেন।

এখনও ঠিক সেভাবে ব্যবহার করা হয়নি। ফলে অনেক কিছুই বুঝতে বাকি আছে। প্রতিদিন না হলেও মাঝে মধ্যেই ইউটিউবে এক আধটা ভিডিও দেখছি। সেই সাথে যে টিপস / ট্রিক্স পাচ্ছি ঘরের মধ্যেই ট্রাই করে দেখছি। চুপি চুপি বলে রাখি, ঘরের মধ্যে হাটাও প্র্যাকটিস করতে হচ্ছে। এটা হাতে নিয়ে বেশী জোরে হাটলে দেখা যায় হাটার তালে তালে হাত উপরে-নিচে কিছুঠা উঠছে-নামছে। ভিডিও’তে পরে সেটাও বুঝা যায়। সুতরাং সঠিক ভাবে হাটতে হবে।

ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালই থাকে। মনে হচ্ছে ঘন্টা দেড়েক এক নাগারে ভিডিও করা যাবে। এখানেও ছোট একটি সমস্যা। ব্যাটারি যেহেতু একদম ফিক্সড, সেটি নষ্ট হলে বা অচল হলে কি করবো !?! আরো একটি সমস্যা আছে। সেটি মেমোরি কার্ড নিয়ে। আগে জানতাম ক্লাস টেন মেমোরি কার্ড হলে সব ধরণের ফটো / ভিডিও রেকর্ড করা যায়। এখন মোবাইলে বা এই ক্যামেরায় ৪কে ভিডিও রেকর্ড করতে গিয়ে শিক্ষা হলো শুধূ ক্লাস ১০ হলে চলবে না। ইউ৩ বা ভি৩০ ষ্ট্যান্ডার্ড ও হতে হবে। বাংলাদেশে এই জিনিসগুলো কখনই ভালমতো বলা থাকে না। সেদিন এক সাইটে দেখলাম মেমোরি কার্ডের স্পেসিফিকেশনে লিখে রেখেছে ইউএইচএস ৩, আর কার্ডের ছবিতে দেখা যাচ্ছে ইউ১। কম স্পিডের মেমোরি কার্ড ব্যবহার করলে কি হবে ? ৪কে ৩০ / ৬০ এফপিএস রেকর্ড করতে গেলেই দেখা যায় ব্যাপক ফ্রেম ড্রপ হয়। এরকম অনেক ছোট খাট বিষয় এখনও বোঝা বাকি আছে।

সাথেই থাকুন। আবারও হাজির হবো এই ডেজেআই অসমো পকেট নিয়ে, নতুন কোন ব্লগ পোষ্ট অথবা নতুর কোন ভিডিও।

ভাল থাকবেন।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।