ছায়ারীরী

বই পড়ি ঠিকই তবে বই সম্পর্কে ভাল-মন্দ বলা মানে বুক রিভিউ লেখাতে আমি খূবই কাঁচা। সেরকম ভাবে ঠিক গুছিয়ে লিখতে পারি না কেন বইটি পড়ে ভাল লাগলো কিংবা ভাল লাগলো না। ছায়াছবি সম্পর্কে একই কথা প্রযোজ্য। ছায়াছবির গল্প ভাল লাগলে ভাল, না হলে নাই। মানে আমি একেবারেই বেসিক লেভেলের পাঠক কিংবা দর্শক। 

গত বছর (২০২৩) চেষ্টা করেছিলাম নিয়মিত বই পড়তে। মাঝে মধ্যে সেই প্রচেষ্টা থমকেও গেছে। এবছর (২০২৪) ও চেষ্টা থাকবে নিয়মিন বই পড়ার। সেই প্রচেষ্টায় প্রথম বই হলো ‘ছায়ারীরী’। রুমানা বৈশাখীর লেখা এই প্রথম পড়ছি। ফেসবুকে অবশ্য ওনার বিভিন্ন ষ্ট্যাটাস মাঝে মধ্যেই পড়ি। 

বই এর শুরুটা চমৎকার ছিলো। বেশ তরতর করে পড়া যাচ্ছিলো। বেশ একটা রহস্য রহস্য ভাব। কিন্তু শেষের দিকে এসে ছন্দপতন। ঘটনার পিছনে ঘটনা এবং ফলাফল পাঠককের সামনে হাজির করায় রহস্য বেমালুম হাওয়া হয়ে গেলো। অথচ ছোট গল্পের মতো রহস্য জিইয়ে রাখতে পারলে হয়তো এটি অসাধারণ ভাল একটি গল্পের বই হতো। 

নেটে দেখলাম রুমানা বৈশাখীর আরো কিছু বই আছে। নাম দেখে আন্দাজ করতে পারি বই গুলো অতিপ্রাকুত ঘরাণার বই হবে হয়তো। পড়ার ইচ্ছে রইলো। 

বই : ছায়ারীরী
লেখক : রুমানা বৈশাখী
প্রকাশক : বিদ্যাপ্রকাশ
প্রথম প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২০১৬
মৃদ্রিত মূল্য : ৭৫.০০ টাকা

আমি বইটি এনেছিলাম বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরী থেকে। 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।