ঢাকা শহর পরিক্রমা (১)

আমার জন্ম ঢাকাতেই। আব্বার চাকরির কারণে কিছুদিন চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ ছিলাম। বাকি সময় এই ঢাকা শহরেই কেটে গেছে। বলতে গেলে কিশোর থেকে যুবক এরপর এখন প্রৌঢ় এই আমি জীবনের অধিকাংশ সময় পার করলাম এই ঢাকা শহরে। অথচ কেউ যদি জিজ্ঞেস করে ঢাকা শহরের কতটুকু চিনি, লজ্জাই পেতে হবে। এই শহরে এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে কোনদিনই যাই নাই। তাই ভাবছি ঢাকা শহর এবার ঘুরে ঘুরে দেখবো। এর আগে শখের ফটোগ্রাফি গ্রুপের পক্ষ থেকে ঢাকা শহরের বেশ কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো। কিন্তু সেটাও শেষপর্যন্ত আর শেষ হয় নাই। এবার তাই নিজে নিজেই ঘুরবো ঠিক করেছি। 

কোথায় ঘুরবো !?! আপাতত ঢাকা শহরের বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা নিয়ে কিছু তথ্য সংগ্রহ করবো, তারপর বেড়িয়ে পড়বো সরেজমিনে দেখতে। শুরু করতে চাই জাদুঘর দিয়ে। বেশ কিছু জাদুঘর ঘুরে দেখেছি। আবার নতুন কিছু জাদুঘর এখনও দেখাই হয় নাই। চলুন শুরুতেই একটা তালিকা করি।

০১. বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর
০২. বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর
০৩. আহসান মঞ্জিল জাদুঘর
০৪. বাংলাদেশ ডাক জাদুঘর
০৫. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
০৬. স্বাধীনতা জাদুঘর
০৭. বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর
০৮. বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘর
০৯. বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
১০. ঢাকা নগর জাদুঘর
১১. বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা জাদুঘর
১২. জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘর
১৩. লালবাগ কেল্লা জাদুঘর

এই সব জাদুঘরের বাইরে আরো কিছু স্থাপনা / জাদুঘর আছে যেগুলো পরিদর্শন করা যেতে পারে
০১. ভাষা শহীদ আবুল বরকত স্মৃতি যাদুঘর ও পাঠাগার
০২. ভাষা আন্দোলন জাদুঘর
০৩. এশিয়াটিক সোসাইটি হেরিটেজ মিউজিয়াম
০৪. জাহানারা ইমাম জাদুঘর
০৫. শিল্পকলা একাডেমি
০৬. জল্লাদখানা বধ্যভুমি
০৭. তোষাখানা

চলুন ঘুরে আসি এক এক করে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।