দেশবন্ধু রেস্তোরা

মতিঝিল এলাকায় গেলে আগে নিয়মিতই দেশবন্ধু রেস্তোরায় লুচি আর ভাজি খেতে যেতাম। দাম তুলনাূলক ভাবে কম ছিলো। দূপুরের খাবার হিসেবেও ভাল ছিলো। উত্তরা আসার পর মতিঝিল গিয়েছি কালেভদ্রে। বেশীর ভাগ সময় ২/৩টি কাজ নিয়ে হয়তো বের হতাম। মতিঝিলের কাজ আগে করে তারপর সামনের দিকে, মানে পল্টন, জিপিও বা গুলিস্তানের দিকে আগাতাম। ফলে দূপুরের খাবার সময় হলেও উল্টা দিকে যাওয়ার আর সময় হতো না। এরপর তো দীর্ঘ সময় আর মতিঝিলে যাওয়াই হয় নাই। 

অনেকদিন পর গতকাল (অক্টোবর ১৩, ২০২৩) আবার গেলাম মতিঝিলে। কোন কাজে নয়, সেগুনবাগিচা শিল্পকলা একাডেমি থেকে বের হয়ে হাটতে হাটতে প্রেসক্লাব, পল্টন, বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা, বাংলাদেশ ব্যাংক হয়ে পৌছে গেলাম টিকাটুলি মোর এ। আগের মতোই আছে। খাবারও একই। তবে দাম বেড়েছে। ৩টি লুচি, ভাজি আর একবোতল পানি – খরচ হলো ৭৫ টাকা। মানে লুচি-ভাজির দাম পড়লো ৬০ টাকা। ভাজির পরিমান আগের চাইতে কিছুটা কমেছে মনে হলো। আগে দাম কতো ছিলো সেটা ঠিক মনে নেই। এদের তৈরী হালুয়ার ও বেশ নামডাক আছে। তবে প্রি-ডায়বেটিক হওয়ায় মিষ্টি খাওয়া একেবারেই বাদ দিয়েছি। না হলে হয়তো টেষ্ট করা যেতো আবার। 

হাটখোলা রোডে আরেকটি রেস্তোরা আছে, একই নামে। তবে সেটাতে কখনই যাওয়া হয় নাই। আজ (অক্টোবর ১৪, ২০২৩) গেলাম সেটায়। কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করে জানা গেলো সব রান্না হাটখোলার এই রেস্তোরায় হয়। পরে টিকাটুলির রেস্তোরায় পাঠানো হয়। হাটখোলায় খেলাম ভূনা খিচুড়ি আর মুরগীর মাংস। দাম নিলো ১৬০ টাকা। 

সময় সূযোগ পেলে ঘুরে আসতে পারেন। 

দেশবন্ধু রেস্তোরা হাটখোলা রোড
দেশবন্ধু রেস্তোরা টিকাটুলি

ছবি : নিজের তোলা

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।