প্লেন স্পটিং

আজ বিকালে বের হয়েছিলাম প্লেনের ছবি তুলবো বলে। কয়েক মাস আগে দেখেছিলাম প্লেনগুলি সব পাসপোর্ট অফিস উপর দিয়ে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ল্যান্ড করে। পাসপোর্ট অফিসের ঐ জায়গায় বিমানগুলির উচ্চতা অপেক্ষাকৃত কম থাকে বলে বেশ বড় দেখা যায়। যাওয়ার আগে ফ্লাইটরাডার২৪ এপে দেখলাম বিকালে বেশ কিছু বিমান ল্যান্ড করবে ৪-৬টার মধ্যে। তারমধ্যে গোটা দূয়েক বড় বিমানও আছে। বাকি গুলি ডমেস্টিক ফ্লাইটের ছোট বিমান।
 
৪:২০ এ বাসা থেকে বের হয়ে চলে গেলাম পাসপোর্ট অফিসের কাছে। গিয়ে দাঁড়ালাম রোড ডিভাইডার এর উপর। পাসপোর্ট অফিসের পাশের বিল্ডিং বেশ ভাল দেখা যাচ্ছিলো।
 
প্লেন নামার কথা উত্তর থেকে দক্ষিন দিকে, কিন্তু দেখা গেলো প্লেন আসতেছে দক্ষিন দিক থেকে। এরা এতোটাই উচুতে যে ওয়াইড এঙ্গেল লেন্সে একদম ছোট লাগে। ৫:৪০ এ যখন বাসার দিকে রওনা দিলাম তখন পর্যন্ত কোন প্লেন ল্যান্ড করতে আসে নাই। আমি যখন বাসার কাছাকাছি তখন পিছনে বড় কোন প্লেনের আওয়াজ শুনলাম, ল্যান্ড করতে যাচ্ছে।
 
আজকের সব ছবিই এরকম আসছে।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।