ক্যাপকাট টেষ্ট

ডিএসএলআর বা এজাতীয় ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও করা হয় না খূব একটা। ফলে ভিডিও করতে গেলে নানা রকম সমস্যায় পড়তে হয়। এ কারণে ডিজেআই ওসমো পকেট দিয়ে ভিডিও শুট করা আমার জন্য সহজতর। আর ডিএসএলআর হাতে নিয়ে শুট করতে গেলে ব্যাপক কাঁপাকাঁপি হয়। আর আমার নাইকন ডি৭১০০ এর ওজনও বেশ।
 
নাইকন জেডএফ ক্যামেরার ওজন বেশী হলেও এর মধ্যে বিল্টইন ষ্টাবিলাইজার আছে, সাথে আছে ইলেক্ট্রনিক ষ্টাবিলাইজার। আখেরী মুনাজাতের দিন সকাল থেকে দূপুর পর্যন্ত এয়ারপোর্ট ষ্টেশনে বেশ কিছু ভিডিও শুট করলাম। দেখা গেলো কাঁপাকাঁপি ভালই ষ্ট্যাবল করতে পারে।
 
তবে সমস্যা ছিলো অন্য। সাধারণত ফ্রেম রেট যা সিলেক্ট করা হয়, শাটার ষ্পিড সিলেক্ট করতে হয় তার দ্বিগুণ। কিন্তু কড়া রোদের মধ্যে দেখা গেলো ভিডিও ওভার এক্সপোজড। এক্ষেত্রে এপারচার আরো ছোট করা যেতো, কিন্তু সেসময় সেটা কেন যেন মাথাতেই আসে নাই। আমি বেশ কয়েকবার শাটার স্পিড আরো দ্রুত করে এক্সপোজার কন্ট্রোল করছিলাম। তাতে কি ভুল হয়েছে, ভিডিও দেখে এখন আর কিছু বুঝতেছি না। আর ভিডিও’র প্রোপারিটিজে ফ্রেম রেট ছাড়া এপারচার আর শাটার স্পিডের আর কোন তথ্য নাই।
 
যাই হোক। ক্যাপকাট ফর পিসি প্রথমবারের মতো ব্যবহার করছি। বেশ সহজ সরল একটা সফটওয়্যার। সেটা দিয়েই এক্সপোজার কিছুটা কন্ট্রোল করা করা গেলো।
 
ভিডিও 
Camera : Nikon Zf

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।