ফটোগ্রাফী টিপস ২

টিপস নাম্বার ৬
আপনার কি ডিএসএলআর ক্যামেরা ছাড়াও এক্সট্রা একটা কম্প্যাক্ট ক্যামেরা আছে ? নিদেন পক্ষে একটা মোবাইল ক্যামেরা ? থাকলে সেটা সব সময় হাতের কাছে রাখুন। এটা হবে আপনার ডিজিটাল স্কেচপ্যাড। পথ চলতে কোন কিছু দেখে আইডিয়া মাথায় এলে সেটা তুলে ফেলুন। পরে কোন একসময় ডিএসএলআর ক্যামেরা নিয়ে এসে তুলে ফেলুন আসল ছবিটা।

টিপস নাম্বার ৭
আপনার ক্যামেরার ফার্মওয়্যার টি কি হাল নাগাদ করা আছে ? আজই ক্যামেরা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইটে গিয়ে খোজ নিন আপনার মডেল এর জন্য কোন আপডেট আছে কিনা। থাকলে ফার্মওয়্যার আপডেট করে নিন।

টিপস নাম্বার ৮
ফটো তোলার পর মেমরি কার্ড থেকে সেগুলো ট্রান্সফার করে ফেলুন আপনার কম্পিউটারে। এরপর মেমরি কার্ডটি অবশ্যই ফরম্যাট করবেন। ফরম্যাট করলে সব ডাটা সম্পূর্ণ মুছে গিয়ে কার্ডটি আবার নতুন করে প্রস্তুত হয় ডাটা নেয়ার জন্য। আপনি যদি শুধূ মুছেন (Delete) তাহলে ডাটা পূরোপূরি নাও মুছতে পারে আর এর ফলে পরবর্তীতে ফটো তোলার সময় আপনার ফাইলগুলি করাপ্ট হয়ে যেতে পারে।

টিপস নাম্বার ৯
প্রতিবার ফটো তোলার পর ক্যামেরার সেটিংসগুলি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনুন অথবা রিসেট করুন। হয়তো আগের রাত্রে ফটো তুলেছিলেন কিছু, সেটিংসগুলি ছিল লো লাইটের উপযোগী, আইএসও বাড়ানো ছিলো স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী। পরদিন সকালে সেটা খেয়াল না করেই হয়তো তুলে ফেলেছেন বেশ কিছু ছবি। যখন খেয়াল করলেন কিছুই আর করার নেই। আপনি যদি ষ্ট্রিট ফটোগ্রাফি বা ফটো জার্নালিজমে আগ্রহী হন, তাহলে প্রতি সেশনের পর সেটিংস আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার প্র্যাকটিসটা অভ্যাস করে ফেলুন।

টিপস নাম্বার ১০
আমরা প্রায় সময়ই সর্বোচ্চ রেজুলিউশনে ফটো তুলি। এটা ঠিক আছে। তবে এতে ফাইল সাইজ অনেক বড় হয় আর কন্টিনিউয়াস শাটার রিলিজের সময় ডিলে (Delay) টাইমটা অনেক বেশী হয়। আপনি যদি স্পোর্টস ফটোগ্রাফীতে আগ্রহী হন তবে ফাইল সাইজ ছোট রাখলে এই ডিলে টাইম (দুই ক্লিকের মধ্যবর্তী সময়) অনেক কমে আসবে আর আপনিও প্রায় সব স্পোর্টস একশনই ক্যামেরাবন্দী করতে পারবেন।

Featured Image : Photo by Zukiman Mohamad from Pexels

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।