ফেসবুক ষ্ট্যাটাস – ০২

ঢাকার অবস্থা তখন কেমন ছিলো !?! কারফিউ / হরতাল সবই সে সময় নিত্যদিনের ঘটনা। জনগনও ত্যাক্ত-বিরক্ত। ঢাকায় সেসময় মনে হয় বড় দৃষ্টিনন্দন বিল্ডিং এর গ্লাস কোনটাই আস্ত ছিলো না। ককটেল আর আগুন। আব্বার এলপিআর এর মেয়াদ শেষের পথে। বেইলী স্কয়ারের বাসা ছেড়ে মোহাম্মদপুর বাবর রোডের বাসায় উঠবো, কিন্তু সামগ্রিক পরিস্থিতির কারণে দেরী হচ্ছে। এইদিনে আমি আমার বইপত্র / ম্যাগাজিন ইত্যাদি সাথে আরো কিছু জিনিস ভ্যানে করে বাবর রোডে নিয়ে গিয়েছিলাম। সারা রাস্তাতেই টেনশনে ছিলাম, যদি বইপত্রে আগুন দেয় তো কিছুই করার থাকবে না। ফার্মগেটে এসে টেনশন আরো বেড়েছিলো। শেষ পর্যন্ত অবশ্য কোন সমস্যা হয় নাই।
ফেসবুক ষ্ট্যাটাস – ডিসেম্বর ৬, ২০২১

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।