বয়স

এই তো মনে হয় সেদিন মাত্র স্কুলে ভর্তি হলাম। বড় বোন এবং কোয়ার্টারের অন্যান্য ছেলে-মেয়েদের সাথে একসাথে তেজগাঁও এর রেললাইন পার হয়ে বটমলি হোম স্কুলে ক্লাস করতে যেতাম। এরপর ক্লাস থ্রি, ফোর, ফাইভ হয়ে গেলাম ময়মনসিংহে। সেখানে এডওয়ার্ড ইনষ্টিটিউশন আর জিলা স্কুলে ক্লাস ফাইভ, সিক্স, সেভেন পার করে এইটের মাঝামাঝি সময়ে আবার ঢাকা। এবার তেজগাঁও পলিটেকনিক স্কুলে ক্লাস এইট এবং নাইনের মাঝামাঝি শেষ করে কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল থেকে এসএসসি। 

এসএসসিি’র রেজিষ্ট্রেশনের সময় প্রয়াত মন্ডল স্যারের ভুলে আমার জন্ম তারিখ ১৭ এর বদলে হয়ে গেলো ৭, বাকি সব অবশ্য ঠিকই ছিলো। সেই ৭ নিয়ে এখনও আছি। 

আজ ১৭ই এপ্রিল ২০২৩ সাল। আমার আসল জন্মদিিন। বয়স ….. মাত্র ৫৮ বৎসর। ভাবা যায় ১৯৭২ সালে ক্লাস টু এ পড়া ৭ বছরের ছেলে আজ ৫৮ বছরের প্রৌঢ়। আসলে সব বয়সেরই আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে, মজা আছে। তবে স্কুল বা কোয়ার্টারের বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গেলে নিজের বয়সটা আর মনে থাকে না। মনে হয় হাফপ্যান্ট পড়া সেই কিশোরই আছি আমি। 

জন্মদিনে নিজেকেই জানাই শুভেচ্ছা। 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।