বাংলাদেশ ডাক জাদুঘর

জাদুঘরটি প্রথম শুরু হয় ১৯৬৬ সালের ৯ অক্টোবর। সে সময় এটি ছিল ঢাকা জিপিও’র কাউন্টারের পাশে একটি সাধারণ প্রদর্শনী। পরে ১৯৮৫ সালে তা জিপিও ভবনের তৃতীয় তলার দুইটি কক্ষে স্থানান্তরিত হয়। কক্ষ দুইটির মোট আয়তন ২,১৬০ বর্গফুট।

জাদুঘরের মোট ২,১৬০ বর্গফুট আয়তনের কক্ষ দুটির একটিতে ডাক বিভাগের কার্যক্রমে ব্যবহূত বিভিন্ন প্রকার জিনিসপত্র স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে উর্দি পরিহিত, বর্শা ও লণ্ঠন হাতে এবং কাঁধে চিঠির ব্যাগসহ একটি পূর্ণ মাপের ডাকপিয়নের অবয়ব এবং রানী ভিক্টোরিয়া আমলের একটি বিশালাকৃতির ডাকবাক্স উল্লেখযোগ্য। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ব্যবহৃত ডাকবাক্স এবং বিদেশের বিভিন্ন দেশে ব্যবহূত আধুনিক ডাকবাক্স, বিভিন্ন সময়ে ব্যবহূত চিঠিপত্রে ডাকমাশুল বসানোর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হস্ত ও বিদ্যুৎচালিত যন্ত্র, খুলনা ও বরিশালের নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ব্যবহূত পরিভ্রমণকারী ডাকঘরের ক্ষুদ্রাকৃতি নমুনাও এখানে আছে। পার্সেল করার কাজে ব্যবহূত সাত মণ পর্যন্ত ওজন মাপার তুলাদন্ড, ডাকঘরে বিভিন্ন সময়ে ব্যবহূত সিলমোহর, হাত ও টেবিলঘড়ি, রানার ও পিয়নদের বেল্টে ব্যবহূত ব্যাজ, উর্দি ও পোশাক, বিভিন্ন প্রকার ডাকসামগ্রী বহনের উপযোগী বিভিন্ন মাপের ব্যাগ ও ডাকঘরের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যবহূত অন্যান্য দ্রব্যাদি, যার অধিকাংশই শত বছরের পুরাতন। দ্বিতীয় ঘরের দেয়ালে বিশ্ব ডাক সংস্থার ১৯১টি সদস্য রাষ্ট্র কর্তৃক প্রেরিত সে সকল দেশের বিভিন্ন প্রকার ডাকটিকিট একটি কাঁচঘেরা তাকে রাখা আছে। (উইকিপিডিয়া)

অবস্থান : ঢাকা জিপিও (৩য় তলা)
সময়সূচী : অফিস টাইম (শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধ)
প্রবেশ মূল্য : নাই

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।