ভারতীয় এফএম ষ্টেশন

ফেসবুকের রেডিও সংক্রান্ত এক গ্রুপে দেখি একজন ভারতীয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রায়ই বাংলাদেশ, নেপাল, চীনের এফএম ষ্টেশন শুনতে পারছেন। তিনি ছাদের উপর তার দিয়ে একটি এন্টেনা তৈরী করেছেন। আমিও ছাদের উপর স্থানীয় এফএম এবং শর্টওয়েভ রেডিও ষ্টেশন এর জন্য তার দিয়ে এন্টেনা করেছি। তেমন কিছু না, কেবল ৩০-৩৫ গজ তার ইংরেজী V অক্ষরের মতো উল্টা করে টানিয়ে তার দোতালার রুম পর্যন্ত টেনে এনেছি। এই লং ওয়্যার এন্টেনা দিয়ে স্থানীয় এফএম বা শর্টওয়েভ রিসেপশন ভাল হলেও অন্য কোন দেশের এফএম ষ্টেশন শুনতে পারি নাই।

গতমাসের শেষে গিয়েছিলাম টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে, ঢাকা থেকে প্রায় ১১৫ কিলোমিটার দূরে। যাওয়ার সময় টেকসান পিএল-৩৩০ রেডিওটি সাথে করে নিয়েছিলাম। ইচ্ছে ছিলো শর্টওয়েভ এবং মিডিয়াম ওয়েভ ডিএক্সিং। মনে করেছিলাম ঢাকায় বিদ্যুতের ব্যবহার অনেক বেশী বলে হয়তো ঘাটাইলে অপেক্ষাকৃত ভাল রিসেপশন হবে বিশেষ করে মিডিয়াম ওয়েভে। কিন্তু দেখা গেলে এফএম ছাড়া বাকি সব ব্যান্ড মানে মিডিয়াম ওয়েভ এবং শর্ট ওয়েভে ব্যাপক নয়েজ। কারণটি যদিও অজ্ঞাত। 

তবে সকালের দিকে এফএম ব্যান্ডে ৩/৪টি ভারতীয় ষ্টেশন পেয়ে খূবই অবাক হয়েছিলাম। এর মধ্যে দুটি ছিলো আগরতলার, বাকি দুটি কলকাতা এবং মেদিনীপুরের। এরমধ্যে আকাশবাণী আগরতলা সকালে বেশ ভাল পেতাম। রাতে অবশ্য রেডিও শোনা হয় নাই। সবকটি ষ্টেশনই বিল্ডিং এর বাইরে বসে সকাল ৭-৯টার মধ্যে শুনেছি। 

ঢাকায় আসার পর আকাশবাণী আগরতলা ঢাকায় পাচ্ছি সকাল এবং রাতে। তবে এর জন্যও আমাকে বারান্দায় যেতে হচ্ছে রেডিও নিয়ে। ছাদে টানানো তার দিয়ে কোন কাজই হচ্ছে না। আসলে ঘটনা হলো এফএম তরঙ্গ লাইন অফ সাইটে পাওয়া যায়। তাই অপেক্ষাকৃত দূর্বল ষ্টেশন থেকে ঢাকা / ঘাটাইল ঘরের ভিতর কোন সিগনাল পাই নাই। বাসার ছাদ ৪তলা এবং আশেপাশের বিল্ডিং সব ৬তলা। একারণেও ছাদের তার কোন সিগনাল পাচ্ছে না। সামনের বারান্দায় গেলে রাস্তা বরাবর পূর্ব / পশ্চিমে বেশ অনেকটা ফাঁকা। তাই সিগনাল কিছুটা হলেও পাচ্ছে। 

আাশা করছি সামনে শরৎ / শীতকালে হয়তো আরো কিছু এফএম ষ্টেশন শুনতে পারবো।

হ্যাপি ডিএক্সইং 

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।