হবি ইলেক্ট্রনিক্স

ছোটবেলায় ইলেক্ট্রিক্যাল / ইলেক্ট্রনিক্স বিষয়ের উপর আগ্রহ ছিলো ব্যাপক। আব্বার এক বাক্স ভর্তি নানা ইলেক্ট্রিক্যাল আইটেম ছিল, ছিল বই। আব্বা সেসময় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর ইলেক্ট্রিক্যাল এর ইনষ্ট্রাকটর ছিলেন। একদম ছোট থাকতে সেই বাক্স ভর্তি জিনিসপত্র ছিলো আমার কাছে খেলনা। আরেকটু বড় হয়ে আব্বার বইপত্র পড়েও অনেক কিছু জেনেছিলাম। তবে হাতে কলমে কাজ করা হয়নি তেমন একটা। প্রথমত চোখের জন্মগত সমস্যা ছিলো বড় একটা বাঁধা। তারপর ইলেক্ট্রনিক্স এর পিছনে খরচ করার মতো হাত খরচ কখনই পেতাম না। তাই শখ আর বাস্তবের মুখ দেখেনি।
 
ছোটবেলার সেই সুপ্ত বাসনা অনেকদিন ধরেই মনের মধ্যে উকিঝুকি দিচ্ছিলো। রাসবেরি পাই আর আরডুইনো নিয়ে টুকটাক নাড়াচাড়াও শুরু করেছিলাম। নেট ঘেটে ছোটখাট এক্সপেরিমেন্ট ও করছিলাম।
 
কয়েকদিন আগে এরকম নেট ঘাটতে ঘাটতেই মাথায় এলো একশন ক্যাম / মোবাইল ক্যামেরার জন্য একটা স্লাইডার / ডলি বানানো যেতে পারে। আরডুইনো দিয়ে স্মার্ট রোবট কার বানানোর হাজারটা প্রজেক্ট আছে নেটে। এগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার আর কোডও পাওয়া যায়। অনলাইন ষ্টোর থেকে 2W / 4W কার চেসিস, সাথে প্রয়োজনীয় মোটর, মোটর ড্রাইভার ইত্যাদি সংগ্রহ করলাম। ঝাঁলাই করার জন্য একটা ইউএসবি সোল্ডারিং আয়রনও কিনলাম। কিছু জিনিস আগে থেকেই ছিলো।
 
ঠিক করলাম শুরুতেই জটিল কিছু না বানিয়ে একদম বেসিক থেকে শুরু করি। মানে শুরুতে একটা ব্যাটারি কার বানাবো। ব্যাটারি দিয়ে সুইচ অন করলেই যেটা চলবে।
 
সব কিছুই ঠিক ছিলো। বহুদিন পর ঝাঁলাই করলাম, ঠিকমতোই হয়েছে। ব্যাটারি দিয়ে সুইচ অন করে ফ্লোরে রাখতেই দেখি গাড়ী সামনে না গিয়ে কেবল চরকির মতো ঘুরতেছে। সমস্যা ধরতে কিছু সময় লাগলো। দুই গিয়ার মোটরের কানেকশন উল্টাপাল্টা হওয়ায় চাকা একটা সামনের দিকে ঘুরতেছে, অন্যটা পিছনের দিকে। আরকটা সমস্যা হলো ব্যাটারিগুলো প্রচন্ড গরম হয়ে যাচ্ছে। এতোটাই গরম হয়েছে যে মনে হচ্ছিলো গলে যাবে। কারন অজ্ঞাত।
 
আপাতত বিরতি। কাল আবার নতুন করে শুরু করতে হবে।

আপডেট : সুইচ এ কানেকশন দিতে ভুল হয়েছিলো। ফলে শর্ট হয়ে ব্যাটারি গরম হয়ে যাচ্ছিলো। মোটরের কানেকশন ও ঠিক হয়েছে। তবে এই মোটর দিয়ে স্লাইডার / ডলি বানানো যাবে বলে মনে হচ্ছে না। ১২০/১৩০ আরপিএম এ ঘুরে। আরো স্লো মোটর দরকার, প্রয়োজনে যেটার স্পিড কন্ট্রোল করা যাবে। ষ্টেপার মোটর লাগবে।


Photo by Daniel Andrade on Unsplash

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।