খন্ডচিত্র : ইজতেমা

খন্ডচিত্র : ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
১. আজ বহুদিন পর লম্বা সময় ধরে দাঁড়িয়ে ছবি তুললাম। বাসা থেকে বের হয়েছিলাম সকাল ৯টায়, বাসায় ফিরলাম দুপুর ১২:৩০ এ। হেটে বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশনে গিয়েছি, ফিরেছিও হেটে। বসার সূযোগ ছিলো, কিন্তু বসি নাই।
 
২. রাজলক্ষীর সামনে গিয়ে রাস্তার সাইড পরিবর্তন করতে গিয়ে দেখি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাহেব। আমি ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করতে করতে দেখি তিনি রাজলক্ষীর পিছনের গলিতে হাওয়া। ক্যামেরা হাতে এগোতেই দেখলাম তিনি এক ফাষ্টফুড এর দোকানের ভিতরে। আমিও ঢুকে ছবি তুলতে চাইলাম। উনিও হেসে মাথা নাড়লেন। দু’টো স্ন্যাপ নেয়ার পর ধন্যবাদ জানিয়ে বের হয়ে আসলাম। বাইরে এসে দেখি ছবি আন্ডার এক্সপোজড। কারণ এপারচার সেট করা ছিলো এফ/১৬ আর শাটার স্পিড ১/৮০ সেকেন্ড। আর আইএসও অটো, আপার লিমিট ১৬০০। পিসিতে নিলে বুঝা যাবে কি অবস্থা।
 
২. ছবি তুলছিলাম নাইকন ডি৭১০০ দিয়ে আর ভিডিও করছিলাম ডিজেআই অসমো পকেট দিয়ে। ডি৭১০০ দিয়ে যদিও ভিডিও করা যায়, কিন্তু হাতে নিয়ে ভিডিও করা বিশাল পেইন। আবার ভিডিও করবো না ছবি তুলবো ভাবতে ভাবতে কিছু সময় নষ্ট হয়।
 
৩. নাম আসমা। ষ্টেশনে প্লাস্টিক বোতল সংগ্রহ করে। ক্যামেরা দেখে জিজ্ঞাসা করলো মানুষের ছবি তুলেন? আমি হেসে বললাম ঘুরে বসো, তোমার ছবি তুলি। ছবি তুলে দেখালাম, লাজুক একটা হাসি দিলো।
 
৪. ফেরার পথে প্রচুর মানুষ রাস্তায়, ইজতেমা থেকে ফিরছে। এক ছেলে হঠাৎ বললো আঙ্কেল ছবি তুলেন। আমি ক্যামেরা অন করে তাক করতেই জিজ্ঞাসা টিভিতে দেখাবেন? বললাম না। সাথে সাথে ছেলের মত পরিবর্তন, তাহলে তুলবো না। আমিও হাসলাম।
 
ভালই গেলো দিনের প্রথমার্ধ। ছবি প্রসেস করার পর টিক করবো ইজতেমার পরবর্তী পর্বে কি ধরণের ছবি তুলবো।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।