উত্তরায় বিনোদনের খূব একটা জায়গা নাই। এটা ঠিক যে ২/৩টি সেক্টর বাদ দিলে প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই খেলার মাঠ বা পার্ক আছে। আগে আমরা প্রায়ই খালপাড় হয়ে উত্তরার নতুন সেক্টর (১৫-১৮) গুলিতে ঘুরতে চলে যেতাম। তবে সেখানেও এখন বিল্ডিং উঠছে। মেট্রোরেল আছে। তারপরেও যওয়া হয় মাঝে মধ্যে। উত্তরায় মার্কেটগুলিতে আর যাই হোক ঘোরা যায় না। কম জায়গায় অনেক বেশী দোকান, মাঝের হাটাপথও অপ্রশস্থ। আর আছে লেষ্টুরেন্ট। মেইনরোডগুলিতে দেখবেন প্রচুর রেষ্টুরেন্ট। এই এলাকায় পরিবার নিয়ে সময় পার করতে চাইলে রেষ্টুরেন্টই তাই ভরসা।
আমি বিকালের দিকে হাটতে বের হই। খূব একটা আস্তে হাটি না। আশেপাশের দৃশ্য তাই খূব একটা নজর কাড়ে না। পকেটের অবস্থা বিবেচনায় বাইরে খাওয়া-দাওয়াও করি কম। আর ইদানিং নানা কারণে এবং ওজন কমানোর জন্য খাওয়া-দাওয়া একেবারেই কম করি, বাইরে কালে-ভদ্রে।
উত্তরায় ষ্ট্রিট ফুডের কিছু কিছু ভ্যান দেখা যায় কোন কোন রাস্তায়। যেমন ৭ নাম্বার সেক্টর লেক রোডে (কালভার্ট) আপনি পাবেন সারি সারি চটপটি-ফুচকার দোকান (ভ্যান)। ১১ নাম্বার সেক্টরে মাইলষ্টোন স্কুল কলেজের আশেপাশে পাবেন বিভিন্ন ধরণের ফাষ্টফুডের কার্ট। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল / ক্লিনিকের সামনেও ভ্যানে করে কিছু না কিছু বিক্রি হতে দেখি। এর বাইরে আর তেমন কিছু চোখে পড়ে নাই। আর পূর্ব সাইডে যে সব সেক্টর (২,৪,৬,৮) সেদিকে খূব একটা যাওয়া হয় না বলে সে সম্পর্কে জানিও না তেমন একটা।
হাটতে গেলে ১২ নাম্বার সেক্টরের মুখে (শাহ মখদুম এভেনিউ) যেখানে রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়, তার পাশেই দুটো ভ্যান দেখি। ভ্যান দুটোর অবস্থান সোনারগাঁ জনপথে। মাঝে মধ্যে অনেককেই দেখি ফুটপাতে পাতা চেয়ারে বসে খাচ্ছেন। একদিন আগ্রহ নিয়েই জানতে চাইলাম কি বিক্রি করছেন। জানালেন বট (ভুড়ি) আর গরুর মাংস। সাথে হাতে বানানো রুটি। বটের দাম ৬০ টাকা আর গুর মাংস ১২০ টাকা। রুটি ১০ টাকা করে। আমাকে দামদর করতে দেখে এক তরুণ বললো খেয়ে দেখতে। বেশ নাকি ভাল। সে মাঝে মধ্যেই এখানে বট আর ৪টি রুটি দিয়ে বিকালের নাশতা করে ফেলে। খরচ হয় ১০০ টাকা।
সেদিন আর খাওয়া হয় নাই। ভাবতেছি যে কোন এক শুক্রবারে গিয়ে বট আর গরুর মাংস দিয়ে ভরপেট খেয়ে আসবো।
যাবেন নাকি এক দিন ???
ফেসবুক মন্তব্য