গরীবের ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি (৩)

ম্যাক্রো লেন্স ছাড়া ম্যাক্রো ফটোগ্রাফির জন্য দ্বিতীয় যে পদ্ধতি প্রচলিত সেটি হলো এক্সটেনশন টিউব ব্যবহার করা। এই পদ্ধতিতে লেন্স এবং ক্যামেরা বডির মাঝে এক বা একাধিক টিউব ব্যবহার করা হয়। এই টিউবগুলির ভিতরে কোন প্রকার গ্লাস বা লেন্স থাকে না, পুরাই ফাঁকা। এখানে মূল্য বিবেচ্য বিষয় হলো সেন্সর থেকে লেন্স যতো দূরে যাবে, সাবজেক্টের প্রতিবিম্ব ততো বড় হবে।

এই এক্সটেনশন টিউব একটিও হতে পারে আবার ৩টির একটি সেটও হতে পারে। এদের কোন কোনটির মাধ্যমে লেন্স এর সাথে বডির ইলেক্ট্রনিক সংযোগ স্থাপিত হয়, কোনটির মাধ্যমে কোন সংযোগ থাকে না। ইলেক্ট্রনিক সংযোগ থাকার অর্থ আপনি ক্যামেরা বডি থেকে লেন্সের এপারচার কন্ট্রোল করতে পারবেন। এগুলো হলো অটো এক্সটেনশন টিউব। আর সংযোগ না থাকলে সেটি ম্যানুয়াল এক্সটেনশন টিউব। যদি আপনার লেন্সে এপারচার রিং থাকে তবে সেটি দিয়ে এপারচার সেট করতে হবে। এপারচার রিং না থাকলে সাধারণত এপারচার সবচেয়ে ছোট এপারচারে সেট হয়ে যায়।

৩টি টিউবের যে এক্সটেনশন টিউব সেট থাকে সেটি ১টি / ২টি বা ৩টি একসাথে ব্যবহার করতে পারবেন প্রয়োজন অনুসারে। এর সাথে আরো ২টি পার্টস থাকে। ১টি বডির সাথে লাগানোর জন্য, অন্যটি লেন্স আটকানোর জন্য।

ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি’তে আলো একটি বড় ফ্যাক্টর। এই টিউব ব্যবহারের সময় আলো কমপক্ষে ২ ষ্টপ কমে যায়। ফলে আলাদা করে কৃত্রিম আলোর ব্যবস্থা করতে হয়। বর্তমানে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফির জন্য ম্যাক্রো রিং লাইট পাওয়া যায়। কন্টিনিউয়াস এবং ফ্ল্যাশ দু’ভাবেই এই রিং লাইট ব্যবহার করা যায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে ম্যাক্রো / টেবিল টপ ফটোগ্রাফিতে কন্টিনিউয়াস লাইট ব্যবহার করতে পছন্দ করি।

ম্যানুয়াল এক্সটেনশন টিউব
অটো এক্সটেনশন টিউব
ম্যাক্রো রিং ফ্ল্যাশ

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।