গ্যাজেট প্রীতি

বিভিন্ন ধরণের গ্যাজেটের প্রতি আমার ভালবাসা অপরিসীম। কোথাও কোন কিছু দেখলে হাত নিশপিশ করে কেনার জন্য। অনেক সময় দেখা যায় একই টাইপের জিনিস একাধিক কিনেছি। আবার কোন জিনিস কিনে ২/৩ বার ব্যবহার করার পরই আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। 

রেডিও আর ক্যামেরা হলো সবচেয়ে প্রিয়। রেডিও আছে ১০+ আর বিভিন্ন ধরণের ক্যামেরা আছে গোটা পাঁচেক। ইদানিং রেডিও শোনা হয় ২-৩টি রেডিও’তে, বাকিগুলি পড়েই থাকে। আপাতত তাই ব্যাটারী খুলে রেডিওগুলি বাক্সে রেখে দিয়েছি। 

ক্যামেরাও ব্যবহার করি একটি বা দুটি। তবে মোবাইলের ক্যামেরাই বেশী ব্যবহার করা হয়। পেটেই থাকে, বের করে ছবি তুলে ফেলে যায়। ক্যামেরা নিয়ে বের হতে চাইলে ব্যাগ ইত্যাদি গুছিয়ে নিয়ে বের হতে হয়। ইদানিং আবার যেখানে সেখানে ক্যামেরা বের করতে কেমন যেন লাগে। মাঝে কয়েক বছর সেরকমভাবে ডিএসএলআর ক্যামেরা ব্যবহার করা হয় নাই। 

কিছুদিন ধরে ছোট সাইজের মিররলেস ক্যামেরা কেনার জন্য মন আকুপাকু করছে। লেন্সসহ ক্রপবডির মিররলেস ক্যামেরার দামও এখন মোটামুটি লাখ টাকার আশেপাশে। আরো ছোট সেন্সরের কিছু পয়েন্ট এন্ড শুট কিছু ক্যামেরা বের হয়েছে সেগুলোও ৭০ হাজার টাকার আশেপাশে দাম। তবে ক্রপবডির যে ক্যামেরা আছে (নাইকন ডি৭১০০) আমার, সেটাই মনে সেরকম ভাবে ব্যবহার করা হয় নাই। 

তবে এবার ঠিক করেছি পরবর্তী ক্যামেরা হবে ফুল ফ্রেম। নাইকনে জেড৫ ক্যামেরার দাম লেন্স সহ ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকার মতো। এরপরের জেড৬ এর দাম লেন্স সহ আরো ১ লাখ টাকা বেশী। মাঝে মধ্যেই মাথায় ক্যারা উঠে, কিনবো কি কিনবো না। আপাতত ডি৭১০০ এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাইছি। তারপর হয়তো ডিসিশন নিবো। 

দেখা যাক কতোদিন নিজের এই সু্প্ত বাসনা সুপ্তই রাখতে পারি। টাকা খরচ করলে কেবল খরচই হয়ে যায়। 

ভাল থাকুন নিরন্তর।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।