ইউরিক এসিড

প্রতি ৩ মাস পর পর কিছু টেষ্ট করছিলাম। RBC, A1c আর Lipid Profile – মোটামুটি এই ৩ টেষ্ট। ব্লাড সুগার আর ট্রাই গ্লিসারাইড পরিমান কেমন এটা জানা ছিলো মূল কারণ। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে খাদ্যাভাস পরিবর্তন করে এবং হাটাহাটি করে এই দুটো কমানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু পায়ে হঠাৎ করে ব্যাথা পেয়ে ডাক্তারের কাছে যেতে হলো। ডাক্তার পা দেখেই বললেন ইউরিক এসিড বেশী মনে হচ্ছে। তারপর ব্যাথা কমানোর ঔষধ দিলেন। সাথে টিজি’র জন্যও। আর দিলেন কিছু পরীক্ষা। রিপোর্ট পেলে জানা যাবে ইউরিক এসিড এর কি অবস্থা।

সাথে প্রেসক্রিপশনে একটা সিল দিয়ে দিলেন, তাতে লেখা ছিলো ইউরিক এসিড বাড়লে কি কি খাওয়া যাবে না। সিল ছোট হলেও লিষ্ট কিন্তু বড়ই। চলু দেখা যাক কি কি খাওয়া নিষেধ :

ডাল এবং ডাল জাতীয় সব খাবার
বিচি এবং বিচি জাতীয় সব খাবার (ছোলা, বুট মটর, বাদাম ইত্যাদি)
পুইশাক, পালং শাক, বেগুন, মাশরুম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর ইত্যাদি
সামুদ্রিক মাছ, মাছের কাঁটা, মাছের ডিম
ডিমের কুসুম
গরু, খাসির মাংস, মগজ
মিষ্টি

এখন বলেন কি খাব !?!

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।