ছাত্র আন্দোলন

আমরা খূব ইমোশনাল জাতি। একটুতেই মাথায় তুলে ফেলি আবার একটুতেই ছুড়ে ফেলে দেই। কোটা সংস্কার নিয়ে সবাই বেশ সরগরম ছিলো। যারা ফ্রন্টে ছিলো তারা ভেবেছিলো আহারে সবাই তো আমাদের পক্ষেই। একটা সময় পরে উচিত ছিলো সরে যাওয়া, যায় নাই। ফলাফল – সূযোগ-সন্ধানীরা সাফল্য লুট করে নিজেদের সার্থে দীর্ঘায়িত করতে চাইছিলো আন্দোলন। এখন দেখেন অবস্থা।
 
বাচ্চাদের এই আন্দোলনও আমার ধারণা মূখ থুবড়ে পড়বে কুটিল রাজনীতির কাছে। যতটুকু অর্জন হয়েছে এই কয়দিনে তাও ভেসে যাবে অযথা দীর্ঘায়িত কবলে। সরকার তো কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেই। গ্রেফতার হয়েছে চালক, সহকারী এমনকি বাস মালিকও। বাসের রুট পারমিট / রেজিষ্ট্রেশন ও বাতিল হয়েছে। এখন পরবর্তী পদক্ষেপ পর্যবেক্ষনের পালা। যদি সরকার সঠিক পদক্ষেপ গ্রহনে ব্যর্থ হয় তো রাস্তায় ফিরে আসার সূযোগ তো থাকছেই। মনে রাখতে হবে সরকারের ভিতরে হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহন করার মতো লোকের অভাব নাই। কিছু কিছু পুলিশ সদস্যের অস্বাভাবিক আচরণ দেখলে সেটা আশা করি বুঝতে পারার কথা।

ফেসবুক ষ্ট্যাটাস আগষ্ট ২, ২০১৮
কোটা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের দাবীতে ছাত্র আন্দোলন

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।