জ্বরাক্রান্ত (১)

শুক্রবার (৩২শে জুলাই, ২০২৩) গিয়েছিলাম চাঁদপুর। যাওয়ার সময় ছিলাম লঞ্চের ছাদে। বাতাস ছিলো বলে গরম তেমন একটা লাগে নাই। কিন্তু রোদ তো ছিলো। চাঁদপুরে নেমে ঘোরাঘুরির পর রেষ্টুরেন্টে খাওয়ার সময় একজন বলছিলো আপনার চোখ-মুখ তো পুরাই লাল হয়ে গেছে। ফরেনারদের মতো লাগতেছে। ওয়াশরুমের আয়নায় দেখি কপাল আর নাক পুরাই লাল। সেই সাথে দুই হাত। কপালের দিকে হাত দিলে আবার দেখি জ্বলে। প্রথমে কিছুটা ব্যাক্কল মনে হলো নিজেকে। কিছুক্ষণ চিন্তা করার পর বুঝলাম এগুলো আসলে সানবার্ন। রোদের তেজ না থাকলেও অতি বেগুনি রশ্মি হয়তো চামড়ার উপরের অংশ পুড়িয়ে দিয়েছে।
 
ফেরার সময় আর ছাদে যাই নাই। ঢাকায় ফেরার পর যেসব জায়গায় সানবার্ণ হয়েছে সে অংশে ভাল করে নারিকেল তেল দিলাম৷ বলাবাহুল্য এই টোটকা নেটেই পেয়েছি।
 
পরদিন তেমন কোন পরিবর্তন দেখা গেলো না। কিন্তু এর পরের দিন থেকে কপাল আর নাকের অংশগুলো কেমন যেন অসার লাগছিলো। কেমন যেন খসখসে। গতকাল থেকে উপরের পাতলা চামড়া উঠতেছে। মানে চামড়ার উপরের লেয়ার মরে গেছে। সেটা উঠে গিয়ে নতুন চামড়া বের হয়েছে।
 
আপাতত আর কোন সমস্যা নাই। গতকাল থেকে হালকা জ্বর। ৯৯-১০১.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট। বাসার সবাই তো বটেই, আমার নিজেরও হালকা পাতলা সন্দেহ ডেঙ্গু হতে পারে। কিন্তু আর কোন লক্ষন নাই। আর দুই দিন দেখে টেষ্ট করাবো ভাবতেছি।
ভাল থাকবেন সবাই।

ফেসবুক মন্তব্য

রিফাত জামিল ইউসুফজাই

জাতিতে বাঙ্গালী, তবে পূর্ব পূরুষরা নাকি এসেছিলো আফগানিস্তান থেকে - পাঠান ওসমান খানের নেতৃত্বে মোঘলদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। লড়াই এ ওসমান খান নিহত এবং তার বাহিনী পরাজিত ও পর্যূদস্ত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে টাঙ্গাইলের ২২ গ্রামে। একসময় কালিহাতি উপজেলার চারাণ গ্রামে থিতু হয় তাদেরই কোন একজন। এখন আমি থাকি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। কোন এককালে শখ ছিলো শর্টওয়েভ রেডিও শোনা। প্রথম বিদেশ ভ্রমণে একমাত্র কাজ ছিলো একটি ডিজিটাল রেডিও কেনা। ১৯৯০ সালে ষ্টকহোমে কেনা সেই ফিলিপস ডি ২৯৩৫ রেডিও এখনও আছে। দিন-রাত রেডিও শুনে রিসেপশন রিপোর্ট পাঠানো আর QSL কার্ড সংগ্রহ করা - নেশার মতো ছিলো সেসময়। আস্তে আস্তে সেই শখ থিতু হয়ে আসে। জায়গা নেয় ছবি তোলা। এখনও শিখছি এবং তুলছি নানা রকম ছবি। কয়েক মাস ধরে শখ হয়েছে ক্র্যাফটিং এর। মূলত গয়না এবং নানা রকম কার্ড তৈরী, সাথে এক-আধটু স্ক্র্যাপবুকিং। সাথে মাঝে মধ্যে ব্লগ লেখা আর জাবর কাটা। এই নিয়েই চলছে জীবন বেশ।